বিকালে এভার কেয়ারে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

শারীরিক অবস্থার ফলোআপ করাতে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে যাবেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় তিনি সেখানে যাবেন। এদিন সকালে বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।

বিএনপি প্রধানের চিকিৎসায় সম্পৃক্ত একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে জানায়, বেগম জিয়ার শারীরিকভাবে পুরানো অসুখগুলোই ঘুরে-ফিরে আসছে। গেল বেশ কিছুদিন ধরে থেমে-থেমে জ্বরও আসছে। এ কারণেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে এভার কেয়ারে যাবেন খালেদা জিয়া।

সূত্র জানায়, সবগুলো চেকাপ করাই এখন প্রাথমিক লক্ষ্য চিকিৎসকদের। এরপর পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন- বেগম জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে কিনা। তবে সূত্রের ভাষ্য, বেগম জিয়া হাসপাতালে ভর্তি হতে অনাগ্রহী হওয়ায় এখনই তাকে ভর্তি করাতে হবে কিনা, তা বলা সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে অবশ্য শায়রুল কবির খান কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, শারীরিক অবস্থার ফলোআপ করাতে এভার কেয়ার হাসপাতালে যাবেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

এরআগে, এ বছরের ২৭ এপ্রিল এভার কেয়ারে ভর্তির পর চিকিৎসাশেষে ১৯ জুন রাতে বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। গত ১৮ আগস্ট মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেন তিনি। গত ১৯ জুলাই এই হাসপাতালে টিকার প্রথম ডোজ নেন খালেদা জিয়া জিয়া।  

গত ১১ এপ্রিল করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট আসে খালেদা জিয়ার। ১৫ এপ্রিল সিটি স্ক্যান করান তিনি। অক্সিজেনজনিত সমস্যা দেখা দিলে ২৭ এপ্রিল রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা (কারাদণ্ড) হয় খালেদা জিয়ার, পরে উচ্চ আদালতে আরও পাঁচ বছর সাজা বাড়ে। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। পরে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তার মুক্তির সময় আরও ছয় মাস বাড়ায় সরকার। এ বছরের মার্চে তৃতীয়বারের মতো ছয় মাসের মেয়াদ বাড়ানো হয়। গত মাসে চতুর্থবারের মতো মুক্তির সীমা বৃদ্ধি করেছে সরকার।