হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘আগের মতোই অপরিবর্তিত’ রয়েছে। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।
গত ১৩ নভেম্বর এভার কেয়ারে ভর্তি করানোর পর সেদিন রাতেই সিসিইউ’তে চিকিৎসা নেওয়া শুরু করেন খালেদা জিয়া। এর আগে, ১২ অক্টোবর এভার কেয়ার হাসপাতালে ২৭ দিন চিকিৎসা শেষে ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন তিনি।
যদিও মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানেই (১৩ নভেম্বর) আবারও এভার কেয়ারে যেতে হয় তাকে। ক্রমে তার শরীর খারাপ হতে থাকলে গত ১৮ নভেম্বর চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। যে কারণে সেদিনই বিএনপির পক্ষ থেকে জরুরিভাবে তাকে পরিবারের আবেদন অনুযায়ী বিদেশে পাঠানোর দাবি করা হয়।
গত ২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের প্রধান অধ্যাপক ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ম্যাডাম এখন সিরোসিস অব লিভারে আক্রান্ত। হিমোগ্লোবিন লেভেল প্রথমবার কমে গিয়েছিল ৫ দশমিক ৫-এ। তারপর আমরা তাকে চার ব্যাগ রক্ত দিয়ে হিমোগ্লোবিন লেভেল ৯-১০ এর কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিলাম। আবার সেটা কমে এসেছিল ৭ দশমিক ৮-এ। এভাবে আমরা রক্ত দিচ্ছি।’
এরপর ৩০ নভেম্বর রাজধানীতে দলের বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় চতুর্থ দফায় রক্তক্ষরণ হয়। চিকিৎসকদের বক্তব্য অনুযায়ী, এ নিয়ে গত ১৭ নভেম্বর থেকে চার দফায় রক্তক্ষরণ হয়েছে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট কাজে যুক্ত একাধিক দায়িত্বশীলের দাবি, আজকাল রক্তক্ষরণ বড় আকারে হয়নি। তবে রিস্ক তো সব সময়ই এক । অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে বন্ধ করা গেলেও সুচিকিৎসা বা সম্পূর্ণ সেরে উঠা সম্ভব নয়। একটা-দুটো কথা বললেও শারীরিকভাবে উন্নতি নেই।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার সন্ধ্যায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ম্যাডামের অবস্থা একইরকম। আগের মতোই আছেন তিনি।’
আরও পড়ুন:
‘ওরা কি আমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে?’
লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়া, বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ চিকিৎসকদের
খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা: ‘স্লোমোশনে কঠোর’ হতে চায় বিএনপি