সরকারের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে: বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের কিছু সুবিধাভোগী দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী চক্রের হাতে দৈনন্দিন ভোগ্যপণ্যের বাজার ব্যবস্থাপনা জিম্মি হয়ে আছে। মূল্য বৃদ্ধির এই দুর্নীতিবাজ চক্রের শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে সরকারের চালিকা শক্তিরাই। তিনি বলেন, ‘সরিষায় ভূত থাকলে ভূত তাড়াবে কে? রক্ষক যখন ভক্ষক হয়, তখন যা হওয়ার তাই হচ্ছে বাংলাদেশে।’

বুধবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আকাশছোঁয়া দাম, সরকারের অব্যবস্থাপনা ও সিন্ডিকেশনের যাঁতাকলে জনজীবনে নাভিশ্বাস’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এখানকার যে মূল্যস্ফীতি, এখানে যে অর্থনৈতিক দুরাবস্থা এর সবকিছুর মূলে হচ্ছে সরকারের দুর্নীতি। এই দুর্নীতির কারণেই দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, তাদের দুর্নীতির কারণেই আজকে সারা দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার দাপটে মধ্য বিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও হত দরিদ্ররা পিষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সরকারের দুর্নীতি, টোটাল ফেইলিওর, অব্যবস্থাপনার কারণে আজকে এই অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে।’

এই অবস্থার পরিবর্তনে রাজপথে আন্দোলন সংগঠিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই দুর্নীতিবাজ সরকারের জনগণের কাছে কোনও দায়বদ্ধতা নেই। তারা জনগণের কল্যাণের তোয়াক্কা না করে নিদারুণভাবে নিষ্ঠুর ও নির্দয় হয়ে পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আসুন, ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করি।’

বামদলীয় জোটের কর্মসূচিতে সমর্থন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বলেছি যে, যেকোনও দলের যেকোনও ন্যায়সঙ্গত দাবির আন্দোলনে আমরা সমর্থন করি সব সময়।’ উল্লেখ্য, দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতির প্রতিবাদে বাম দলীয় জোট আগামী ২৫ মার্চ সারা দেশে আধা বেলা হরতাল ডেকেছে।

‘বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপরে নির্যাতন করা হবে না, আন্দোলন দমন করা হবে না’, প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা কখনোই উনার (প্রধানমন্ত্রী) কোনও কথায় বিশ্বাস করি না। এটা একটা কারণে যে, তারা যা বলে তা করে না। আমরা বলেছি যে, তাদের সব কথাবার্তায় সব প্রতারকের ভূমিকা পালন করে ওরা।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া ছিলেন বিএনপি মিডিয়া সেলের শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শায়রুল কবির খান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রিয়াজ উদ্দিন নসু, আমিরুজ্জামান শিমুল, চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের এবিএম আবদুস সাত্তার ও শামসুদ্দিন দিদার।