১০ ডিসেম্বর নিয়ে ‘পোড়া মাটির নীতি’ অবলম্বন করছে সরকার: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘১০ ডিসেম্বর বিএনপির কর্মসূচিকে নিয়ে ‘পোড়া মাটি নীতি’ অবলম্বন করেছে সরকার। বিরোধীদলীয় কর্মসূচিকে বানচাল করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তারা। বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা-নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে।’

বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ এসব কথা বলেন।

রিজভী উল্লেখ করেন, গণমাধ্যমের শিরোনাম হচ্ছে অসংখ্য ককটেল ফাটানোর অভিযোগে পুলিশের মামলা দায়ের, কিন্তু কেউ ককটেল ফুটতে দেখেনি বা শোনেনি (সূত্র: সমকাল)। কাওরান বাজারে ককটেল বিস্ফোরণ মামলায় আসামি বিএনপি নেতাকর্মীরা। কিন্তু ককটেল বিস্ফোরণের কোনও শব্দ পায়নি এলাকাবাসী (সূত্র: প্রথম আলো)। নারায়ণগঞ্জে পুলিশের মামলায় জাপানে থাকা প্রবাসী ছাত্রদল নেতা গায়েবি মামলার আসামি (সূত্র : ডেইলি স্টার)। সেই পুরনো কায়দায় সারা দেশে আবারও গায়েবি মামলার হিড়িক চলছে।

বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, ‘বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুল ইসলাম মাহবুবকে গত রাতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তার কোনও হদিস দিচ্ছে না। এ নিয়ে দল ও তার পরিবার গভীর উৎকণ্ঠায় রয়েছে। তাকে ডিবি পুলিশই তুলে নিয়ে গেছে। আমি অবিলম্বে তাকে জনসমক্ষে হাজির করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি জানান, গত রবিবার সাবেক ছাত্রদল নেতা ও ২০১৮ সালের শরীয়তপুর-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দীন অপুকে দুদুকের একটি ফরমায়েশি ভুয়া মামলায় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি প্রচণ্ড অসুস্থ।

রিজভী বলেন, ‘বিএনপির একজন সাবেক সংসদ সদস্য প্রার্থীকে এহেন নিপীড়ন-নির্যাতন-অসম্মান নজিরবিহীন। কোনও সভ্য সমাজে এ ধরনের জুলুম-নির্যাতন-ডান্ডাবেড়ি পরানোর মতো ন্যক্কারজনক ঘৃণ্য-বর্বরোচিত চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজ হতে পারে না। মিয়া নূর উদ্দিন অপু কোনও খুন বা ডাকাতি মামলার আসামি নন। তিনি ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার আসামি।’