১৬ জানুয়ারি নতুন কর্মসূচি দিলো বিএনপি

সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ ১০ দফা দাবি এবং বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের প্রতিবাদে কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। আগামী ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণ-অবস্থান কর্মসূচি থেকে এই ঘোষণা দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে ১০ দফা দাবিতে বিএনপির পক্ষ থেকে গত ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিল কর্মসূচি পালিত হয়। আর আজ বুধবার সারা দেশে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে তারা।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচিতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ছবি: নাসিরুল ইসলাম)

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণ-অবস্থানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে। রাষ্ট্রকে মেরামত করতে হবে। আর আমাদের প্রস্তাবিত ১০ দফা বাস্তবায়ন করা না হলে রাষ্ট্র মেরামত সম্ভব নয়।

আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন ও অস্তিত্ব হারানো দল মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ একটি পুরোনো রাজনৈতিক দল। কিন্তু বর্তমানে তারা জনবিচ্ছিন্ন দল হয়ে গেছে। তারা তাদের অস্তিত্ব হারিয়েছে। আমাদের জেগে উঠতে হবে। এই আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা তাদের পরাজিত করে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করবো। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন দলের নেতাকর্মীরা (ছবি: নাসিরুল ইসলাম)

জোর করে ক্ষমতায় থাকার দিন শেষ মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, যদি নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন তাহলে আমাদের কোনও সমস্যা নাই। কিন্তু জোর করে ক্ষমতায় থাকবেন, সেই দিন শেষ।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তাতে জেল-জুলুম যাই হোক হবে। আন্দোলনের মাধ্যমেই দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা যখনই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেই তখনি সরকার ভয় পেয়ে বিভিন্ন মিডিয়াতে বলেন আমরা নাকি বিশৃঙ্খলা করবো। আজকের এই শান্তিপূর্ণ গণ-অবস্থান কর্মসূচি প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কোনও বিশৃঙ্খলা চায় না। তারা শান্তিপূর্ণভাবে এই সরকারকে হটিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে।