‘তারেক ও মামুনের পাচার করা ৫০০ কোটি টাকার সন্ধান পেলেও আনা যাচ্ছে না’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিদেশে পাচার করা ৫০০ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে তা দেশে ফেরত আনা যাচ্ছে না। রবিবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি বলেন, ওই টাকা যে ব্যাংকের ভল্টে রয়েছে সেটা তারেক রহমান এবং মামুনের আই কন্ট্যাক্ট ছাড়া বের করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে টাকাটা এখনও ফেরত আনা যাচ্ছে না।

১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছিল মন্তব্য করে আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেন, বিএনপির আমলে খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান এবং তার বন্ধু মামুনের লুটপাটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৩০০ থেকে ৩২০০ মেগাওয়াটে নেমে এসেছিল। আজ বাংলাদেশ ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। খালেদা জিয়ার পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর পাচার করা ৪০ কোটি টাকা এফবিআইয়ের সহায়তায় বাংলাদেশ ফেরত এনেছে। তারেক ও মামুনের আরও টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। বিদেশের একটি ব্যাংকে তারেক এবং মামুনের ৫০০ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে ওই ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে যে ভল্টে তারা টাকা রেখেছে সেই ভল্টে শুধু তারেক ও মামুনের আই কন্ট্যাক্ট ছাড়া টাকা বের করা সম্ভব নয়। তাই টাকাটা এখনও ফেরত আনা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, তারেক রহমান তার নিজের মামা এবং মামার বন্ধুদের প্যাদানি খেয়ে ২০০৭ সালে দেশ ছেড়ে পলায়ন করেছে। আর মামুন এখন দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে কারাগারে। শুধু তারেক আর মামুন নয়, বিএনপির অনেক নেতার বিদেশের বিভিন্ন দেশে টাকার হদিস পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে। এই কারণে এই মুহূর্তে আমরা এটি সংসদে উপস্থাপন করতে পারছি না। তবে অচিরেই তারেক-মামুনসহ বিএনপির নেতাদের এসব পাচারকৃত টাকার তথ্য জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। এবং এই টাকাগুলো অবশ্যই ফিরিয়ে এনে জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ করা হবে।

আলোচনায় অন্যদের মধ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, সরকারি দলের নুরুন্নবী চৌধুরী, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, ডা. প্রাণগোপাল দত্ত, জাতীয় পর্টির শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।