রাজত্ব যার নেশা তার জন্য গণতন্ত্র নয়: গয়েশ্বর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আপনি গণভবনে বসে আসন ভাগাভাগি করবেন, তা হতে পারে না। ১৯৯১ সালে আপনি গোপালগঞ্জ ছাড়া বাকি আসনে পরাজিত হয়েছিলেন। খালেদা জিয়া পাঁচটি আসনে প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হন। রাজত্ব যার নেশা তার জন্য গণতন্ত্র নয়।

রবিবার (৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম’৭১ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এবং সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে আপনি ব্যবস্থা নেননি। ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে আবারও চুক্তি করেছেন অথচ ভারতেই তার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হোক না হোক ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। বিশ্ববাজারে কয়লার দাম ২০০ ডলার আর আদানির সঙ্গে ৪০০ ডলারে চুক্তি হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির দাবি মানবেন কী মানবেন না তা আপনার বিষয়, কিন্তু জনগণের দাবি মেনে দিনের ভোট দিনে দিন। মানুষ আর রাতের ভোটে চায় না। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা ছাড়ুন। না হলে আপনাদের কী হবে তা কেউ জানে না।’

মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে, মানুষ বাঁচতে চায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘শিগগিরই আপনাকে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে, কোথায় যাবেন সেটা খুঁজুন। আপনাকে ক্ষমতায় রেখে সাধারণ মানুষ ভোটের অধিকার কোনও দিনই ফিরে পাবে না। আপনি জনগণের আস্থা অর্জনে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাদের জেলে রেখে নির্বাচন দেবেন সেটা ভুলে যান। কোনও দল নির্বাচনে যাবে না। যারা যাবে তারা বেইমান হবে। বিএনপিকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, বিএনপি কাউকে ভয় পায় না। আপনি পদত্যাগ করুন, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন, তাহলেই সব সমস্যার সমাধান হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা রিজভী, সরাফত আলী সফুসহ সব রাজবন্দির মুক্তি চাই। আমাদের দাবি একটি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিগগিরই একদফা কর্মসূচি দিয়ে এই সরকারের পতন আন্দোলন শুরু করবো আমরা। আগামী নির্বাচন কোনোভাবেই এই সরকারের অধীনে হবে না।’

মানববন্ধনে আরও ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ।