‘দেশের সিদ্ধান্ত বিদেশিরা দিলে নিজেকে নাগরিক দাবি করি কীভাবে’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্নের পথে। দেশের মৌলিক সিদ্ধান্ত যখন বিদেশিরা দেয়, তখন আমরা নিজেকে স্বাধীন দেশের নাগরিক দাবি করি কীভাবে? আমাদের সীমান্ত রক্ষীরা খালি হাতে বা রাইফেল হাতে দাঁড়িয়ে থাকে… তাদের গুলি করার অধিকার নাই।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলনে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার এবং সংসদ বাতিলের দাবিতে এই মিছিল করে বিএনপি।

গয়েশ্বর বলেন, ‘এ দেশ আমাদের, এ দেশের সমস্যা আমাদের, সমাধানও আমরাই করবো। আজ শেখ হাসিনা সরকার, ভারত, চীন আর রাশিয়ার সরকার– এটা বাংলাদেশের জনগণের সরকার না।’ এ সময় নেতাকর্মীদের রাজপথে থেকে লড়াই করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ‘সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজাতে আমরা আজ কালো পতাকা নিয়ে রাজপথে নেমেছি। সারা বিশ্বে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে এই কালো পতাকা মিছিল স্বীকৃত। আমরা বলতে চাই, এ সরকার কালো পতাকার কালো আধারে নিশ্চিহ্ন এবং জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদায় নেবে।’

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন।

বেলা ২টায় মিছিল শুরুর কথা থাকলেও বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কালো পতাকা মিছিলের উদ্বোধন করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। মিছিলটি বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়। নাইটিঙ্গেল রেস্টুরেন্ট মোড় হয়ে ফকিরাপুল, আরামবাগ মোড় ঘুরে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয় মিছিল।

এর আগে, নয়াপল্টনে মিছিল উপলক্ষে কালো পতাকা ও ব্যানার হাতে বিএনপি ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন ইউনিটের হাজার হাজার নেতাকর্মী সমবেত হন।