খালি পেটে বরই খেলে কী হয় মন্ত্রী জানেন না: মির্জা আব্বাস

রমজানে মুসলিমদের ‘আঙুর, খেজুরের পরিবর্তে বরই, পেয়ারা দিয়ে ইফতার করার’ পরামর্শ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। গত ৪ মার্চ রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে দেওয়া এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাজধানীর শাহজাহানপুরে নিজ বাড়ির আঙিনায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘মন্ত্রী বলেন বড়ই খেয়ে ইফতার করার জন্য, সেই মন্ত্রী হয়তো জানেনও না যে, খালি পেটে একজন মানুষ বড়ই খেলে মারাও যেতে পারে। এমনই একটা ফল বড়ই। খালি পেটে খেলে কী যে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে, এটা মন্ত্রী জানবেন না। জানবেন না এ কারণে যে উনারা তো সব সময় খেজুড়, আঙুরসহ বিভিন্ন দামি ফল-ফ্রুট দিয়ে ইফতার করে থাকেন।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘রমজান শুরু হচ্ছে। আমি আওয়ামী লীগের শাসনামলে কোনও একটা সময় পাইনি যে এই দেশের লোক স্বস্তিতে রমজান পালন করেছে। আমি বাজারে কম যাই, কিন্তু বাজারের টাকাটা আমাকেই দিতে হয়…। আমি খেয়াল করলাম আমি যে টাকা আগে দিতাম এখন বেশি টাকা দিলেও সেই টাকায় হয় না। বাজারের জন্য কাউকে টাকা দিলে বলে যে, স্যার এই টাকায় হবে না। যে মাছটা কিনেছিলাম এতো টাকা দিয়ে সেই মাছটা আরও বেশি টাকা দাম। আমার বিশ্বাসই হয় না।’

‘মাঝে মাঝে একটা কৈ মাছের দাম শুনে অবাক লাগে, ভাবতেই পারি না।... ডিমের দাম, একটা ডিমের দাম ২০/২৫ টাকা ছিল। জেলখানায় একটা ডিমের দাম ২০ টাকা, আমি শুনে আকাশ থেকে পড়লাম।’

মির্জা আব্বাসের মন্তব্য, ‘সব মিলিয়ে রমজান মানুষের জন্য কতটুকু স্বস্তিদায়ক হবে তা নিয়ে অনেক সন্দেহ আছে। এক কথায় রমজান স্বস্তিদায়ক হবে না। এই রমজানের মধ্যেও জিনিসপত্রে দাম বাড়বে, কোনোটাই কমবে না।’

এর আগে শিল্পমন্ত্রীর ‘বরই দিয়ে ইফতার’ সংক্রান্ত মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন অন্য রাজনীতিবিদরাও। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়াসহ বিভিন্ন রাজনীতিবিদ শিল্পমন্ত্রীর সমালোচনা করেন।

আরও পড়ুন- জনগণ বরই খাবে, মন্ত্রী খাবেন আঙুর-খেজুর: বাংলাদেশ ন্যাপ