বিএনপির ইফতারে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি

আন্দোলন চলবে: কূটনীতিকদের মির্জা ফখরুল

কূটনীতিকদের সম্মানে অনুষ্ঠিত বিএনপির ইফতার আয়োজনে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন। রবিবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

স্বাগত বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া  ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আয়োজিত ইফতারে অংশগ্রহণ করায় আগত কূটনীতিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন  বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ইংরেজি ভাষায় লিখিত বক্তব্যে তিনি কূটনীতিকদের বলেন, ‘অধিকার ও স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনকে আমরা গভীরভাবে মূল্যায়ন করি—যার মধ্য দিয়ে প্রকৃতভাবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা যেতে পারে। যতক্ষণ না এবং যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা এটা অর্জন করতে না পারি, ততক্ষণ জনগণের শান্তিপূর্ণ ও অসহিংস আন্দোলন চলবে।’

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর অমানবিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিএনপি গভীরভাবে অবহিত বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ও জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি উল্লেখ করেন, দুই রাষ্ট্রের কৌশলেই এই সংকটের সমাধান হতে পারে।

কূটনীতিকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

প্রসঙ্গত, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর এই প্রথমবারের মতো বিএনপির পক্ষে প্রকাশ্যে কোনও নীতিনির্ধারক কোনও বক্তব্য রাখলেন। এর আগে এই ইস্যুতে এক্স-এ টুইট করেছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ গভীরভাবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটকাল অতিক্রম করছে। রাষ্ট্র আবারও ফ্যাসিবাদী শাসনের কবলে পড়েছে। বিশ্ববাসী জানেন, গত ৭ জানুয়ারি যা হয়েছে, তা কোনও নির্বাচন নয়। বরং জাতির গণতান্ত্রিক প্রত্যাশাকে অপমান করা হয়েছে।’

বিএনপির ইফতারে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন। সঞ্চালনা করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।

কারাগার থেকে বেরোনোর পর মির্জা ফখরুলের হাতে লাঠি দেখা গেলেও সিঙ্গাপুর থেকে শনিবার (২৩ মার্চ) দেশে ফেরার পর আর তা দেখা যায়নি।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ইফতারে জাতিসংঘ, এনডিআই, আইআরআই এবং ৩৮টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছেন—যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন ল্যাফেইব, পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দির সিম্পসন, জার্মান অ্যাম্বাসেডর আখিম ট্রোসটার,ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার ড. বিনয় জর্জ প্রমুখ।