তিনি সরকারের যে কোনও ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহবান জানিয়েছেন।
রবিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী ভবন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির আসন্ন ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলন ও কাউন্সিল উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ১৯ মার্চ কাউন্সিলের আগে সরকার ষড়যন্ত্র করতে পারে। কত ষড়যন্ত্র করবেন বিএনপির শীর্ষ দুই পদে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নির্বাচিত হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে আমরা সফল হয়েছি। ষড়যন্ত্র করে টিকে থাকা যায় না। তাই সকলকে আহবান করবো কাউন্সিল পর্যন্ত সজাগ থাকুন।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পদপদবীর জন্য লড়াই বন্ধ করে তার অর্ধেক যদি আন্দোলনে সক্রিয় থাকতেন তাহলে আন্দোলন সফল হতো এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সরকার প্রতিষ্ঠিত হতো।
আপ্যায়ন কমিটির আহবায়ক ও বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সদস্য আব্দুস সালামকে পরামর্শ দিয়ে গয়েশ্বর বলেন, আপনারা সুসংগঠিত হয়ে কাউন্সিলের লোকদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করবেন। নিজেরা খাওয়ার চেষ্টা করবেন না।
ঢাকা মহানগরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিএনপির কাউন্সিলে যতটুকু জায়গার দরকার হয় তার দশ ভাগের এক ভাগও অনুমতি পায় নাই। আমাদের কাউন্সিলর আছেন ২৮৫০, বিদেশি ও দেশি আমন্ত্রিত অতিথি মিলে ৪৫০০ জন। এর পরে আপনাদের জন্য জায়গা নেই। আপনারা তাই ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করবেন না। আপনারা বাইরে জায়গা করে নেবেন।
ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস, যুগ্ম আহবায়ক কাজী আবুল বাশার, সদস্য বজলুল বাসিত আঞ্জু প্রমুখ।
মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য ইউনুছ মৃধা।
এসটিএস/এজে