বৃহস্পতিবার রাত সোয়া নয়টায় শুরু হয়ে রাত সাড়ে বারোটা পর্যন্ত স্থায়ী কমিটির এ বৈঠক চলে। বৈঠকে গঠনতন্ত্র সংশোধন নিয়েই আলোচনা হয় বেশি। এছাড়া আগামী ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় কাউন্সিলের অগ্রগতি ও কাজের সর্বশেষ আপডেট দেওয়া হয় বৈঠকে।
বৈঠকসূত্রে জানা যায়, এবারের কাউন্সিলে সবচেয়ে বড় দিকটিই থাকবে গঠনতন্ত্র সংশোধন। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদ নিয়ে পরিষ্কার বক্তব্য রাখা হবে। পাশাপাশি এ সম্পর্কে দলীয় অবস্থান ও এর নেতিবাচক দিক সম্পর্কে অবহিত করে জাতিকে সজাগ থাকার আহ্বানও জানানো হবে। এছাড়া ক্ষুদ্রঋণ নিয়েও বক্তব্য গঠনতন্ত্রে যোগ করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন বৈঠকে অংশ নেওয়া সূত্র।
যদিও বৈঠক থেকে বেরিয়ে প্রশ্ন করা হলে এড়িয়ে যান স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, মাত্র দুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
জানা গেছে, স্থায়ী বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনেকটাই চূড়ান্ত। আগামী কাউন্সিলে উত্থাপন করে এগুলো পাশ করিয়ে নেওয়া হবে। তবে বক্তব্য উপস্থাপনকালে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কোনও বিতর্ক বা কথা কাটাকাটি হয়েছে কী না, এর উত্তরে বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন সদস্য জানান, ‘না, তেমন কোনও বিতর্ক উঠেনি।’
বাড়ছে ভাইস চেয়ারম্যান পদের সংখ্যা, মান বাড়ছে উপদেষ্টা কমিটির, বাড়ছে সম্পাদকীয় পদ
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অংশ নেওয়া সদস্য বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বৃহস্পতিবার রাতের বৈঠকে ভাইস-চেয়ারম্যান পদ ১৭ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। প্রায় চার ঘণ্টার ম্যারাথন এই বৈঠকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কমিটির মানও বৃদ্ধির করার সিদ্ধান্ত ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছে। সংশোধিত গঠনতন্ত্রে উপদেষ্টা কমিটিকে পার্টির উপদেষ্টা পরিষদের পরিণত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মান বাড়ানোর পাশাপাশি এই কমিটির অধীনে শ্রম-শ্রমিক, কৃষি-কৃষক, মানবসম্পদ, জলবায়ু, শিক্ষা ও নারী বিষয়গুলোর দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বৈঠকে অংশ নেওয়া সূত্র আরও জানায়, সম্পাদকীয় পোস্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির কলেবর বাড়বে।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মহাসচিব হিসেবে মির্জা ফখরুলই থাকছেন। এর কোনও বিকল্প আপাতত নেই।
/টিএন/