চার মাস চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টায় ঢাকায় পৌঁছাবেন তিনি। দলীয় প্রধানকে বরণ করতে নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
ইতোমধ্যে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’কেও প্রস্তুত করা হয়েছে নতুনরূপে। বিমানবন্দর থেকে গুলশানের প্রবেশ পথে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে বিএনপি এবং সহযোগী কোন সংগঠনের নেতাকর্মীরা কোথায় অবস্থান নেবেন, সে দিকনির্দেশনাও দিয়ে দিয়েছেন হাইকমান্ড।
সোমবার (৫ মে) সন্ধ্যায় সরেজমিন গুলশান-২ নম্বরের ৮০ নম্বর সড়কে গিয়ে দেখা যায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। এই রোডের ১ নম্বর বাড়িটি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবন, নাম ‘ফিরোজা’।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি ধোয়া-মোছা এবং জেনারেটর ও এসির সার্ভিসিং সম্পন্ন হয়েছে। সামনের আঙ্গিনার ফুলগাছের টবগুলো সাজানো হয়েছে নতুন আঙ্গিকে। সব কিছুর তদারকিতে রয়েছেন তার স্বজনরা। বাড়িটির সামনে পাহারার দায়িত্বে রয়েছেন সিকিউরিটি ফোর্স-সিএসএফ’র সদস্যরা। নিরাপত্তার স্বার্থে কাউকে ভেতরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। বন্ধ রাখা হয়েছে প্রধান ফটক।
এর আগে রবিবার (৪ মে) ফিরোজায় কাজ করেছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা। বাসার সামনের বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার পরীক্ষার কাজও করেছেন তারা।
অপরদিকে খালেদা জিয়ার ব্যবহৃত নিশান প্যাট্রল গাড়িটিও নতুন করে রঙ করে বুলেটপ্রুফ গ্লাস লাগানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৭ জানুয়ারি লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পরদিন ৮ জানুয়ারি হিথ্রো বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বড় ছেলে তারেক রহমান ও পরিবারের সদস্যরা। সেখান থেকে সরাসরি দ্য লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন তিনি। ১৭ দিন চিকিৎসার পর বড় ছেলের বাসায় ওঠেন তিনি। পরবর্তী সময়ে সেখানেই তার চিকিৎসা কার্যক্রম চলে।
এরই আলোকে সোমবার (৫ মে) স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ১০ মিনিট এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ১০ মিনিটে কাতারের আমিরের দেওয়া রয়্যাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। তার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন দুই পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা ও শর্মিলা রহমান এবং চিকিৎসক ও মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যসহ ৯ জন। মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের।