বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আমাদের অধিকার ফিরে না পাওয়ার কোনও কারণ নেই। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) দুপুর দেড়টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আপিল বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এতে ২০১৩ সালে নিবন্ধন বাতিলের আগে আমাদের দল যে অবস্থায় ছিলও সে অবস্থায় বহাল রাখার কথা বলা হয়েছে। সেখানে প্রতীকের বিষয়টি আলাদাভাবে বলা প্রয়োজন মনে করেননি আদালত। আদালতের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
২০১৬ সালে প্রশাসনিক নির্দেশে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক বাতিল করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে সময়ের সরকার অনৈতিকভাবে এটি করেছিল।
জামায়াতের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, নির্বাহী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, মোবারক হোসেন ও অ্যাডভোকেট শিশির মোহাম্মদ মনির।
এর আগে, রবিবার (১ জুন) সকালে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের হাইকোর্টের দেওয়া রায়কে বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এতে দলটির নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার পথ সুগম হয়।
রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির রবিবার আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তারা মামলার শর্ট অর্ডার চেয়েছেন। সোমবারের মধ্যেই মামলার সংক্ষিপ্ত আদেশ হাতে পেতে পারেন। সংক্ষিপ্ত আদেশ ইলেকশন কমিশনের কাছে অ্যাপ্রোচ (উপস্থাপন) করা হবে। ইলেকশন কমিশন অতি দ্রুত জামায়াতের নিবন্ধন ও জামায়াতের প্রতীক ফিরিয়ে দেবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, গত এক যুগের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে এটি জামায়াতের দ্বিতীয় সাক্ষাৎ। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দলটির একটি প্রতিনিধিদল বিভিন্ন দাবি নিয়ে ইসিতে এসেছিল।