জিএম কাদের বলেন, ‘সংবিধানে যেভাবে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করেছেন, তা অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থার সঙ্গে সাংঘার্ষিক নয়। তিনি মসজিদের উন্নয়নে যেমন বরাদ্দ দিয়েছেন, তেমনিভাবে মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডা-তে বরাদ্দ দিয়েছেন।’
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘৯ম সংসদে সংবিধানের অনেক সংশোধন হয়েছে, কিন্তু রাষ্ট্রধর্ম বিষয়ে কোনও সংশোধনী বা পরিবর্তন আনতে হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘যারা অন্যায় ও অবিচার করে তারাই ইসলাম ও মুসলমানদের ভয় করে। তাই বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলমানদের ওপর আঘাত আসছে। জাপা রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করে এরশাদের স্বপ্ন পূরণ করবে।’
দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘ইসলাম ছাড়া হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই এরশাদের স্বপ্নের ইসলামি মূল্যবোধের সরকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জাপা কাজ করে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী মানুষগুলো এক হলে আগামী নির্বাচনে জাপা সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে।’
জাতীয় ওলামা পার্টির আহ্বায়ক ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী, ওলামা পার্টির মাওলানা সাইখুল হাদিস, ড. আবুল কাইয়ুম আজাহারী, মাওলানা মোহাম্মদ এবিএম মোস্তফা কামাল চৌধুরী, মাওলানা মোহাম্মদ মুফতি মাহমুদি, মাওলানা মোহাম্মদ শফিউল্লাহ জিহাদী, মাওলানা ক্বারী মোহাম্মদ আজিজুল হক সরকার প্রমুখ।