মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনে জাপার প্রস্তুতি কতদূর?

জাতীয় পার্টিমুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন নিয়েজাতীয় পার্টিতে (জাপা) কোনও উদ্যোগ নেই বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা বলছেন, এই দুটি উৎসব পালন নিয়ে এখন পর্যন্ত দলের মধ্যে কোনও আলোচনাই হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ডাকাও হয়নি দলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণীয় ফোরাম প্রেসিডিয়ামের কোনও সভাও। ফলে, বিভিন্ন জায়গায় বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের মুখামুখি হলেও কোনও উত্তর দিতে পারছেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাপার কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘এসব বিষয়ে দলের অবস্থান কী, আমি জানি না।’ তিনি বিষয়টি নিয়ে দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

একই কথা বললেন দলটির আরেক কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদও। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এই দুটি উৎসব পালন করতে হবে আমাদের।  তবে, এই উৎসবগুলোকে ঘিরে দলে কী ধরনের কর্মসূচি থাকবে, তা নিয়ে এখনও আলোচনা হয়নি। দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের নিশ্চয় কোনও চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।’

তবে, জাপার চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে একাধিকবার ফোন করে এবং মেসেজ দিয়েও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আর দলটির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমরা একটিই কর্মসূচি পালন করবো। সেটা হলো জাতির জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে দোয়া মাহফিল করবে।’

জাপার নেতারা বলছেন, জাতীয় দিবসগুলো পালন নিয়ে দলের কর্মপন্থা ঠিক করা নিয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কোনও আগ্রহ নেই। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন নিয়ে এখন পর্যন্ত দলের মধ্যে কোনও আলোচনা হয়নি। রাজনৈতিক নেতা হিসেবে বিভিন্ন ফোরামে এ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হলেও তারা কোনও উত্তর দিতে পারেন না বলেও তারা উল্লেখ করেন।

জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী  বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে দলের মধ্যে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি। তবে, শিগগিরই  আলোচনা করে বিষয়টি ঠিক করবো। আশা করি, প্রেসিডিয়ামের সভা ডেকে দলের কর্মপন্থা ঠিক করা হবে। আমিও সকাল থেকে এ নিয়ে পার্টির চেয়াম্যানের জিএম কাদেরের সঙ্গে আলোচনা করার চিন্তা করছি।’

জানতে চাইলে মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন নিয়ে আলোচনা না হলেও বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সরকারি অনুষ্ঠানগুলোয় এমপিরা অংশ নেবেন।’

পার্টি কীভাবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙ্গা বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন উপলক্ষে গতানুগতিক যেসব প্রোগ্রাম হয়ে থাকে, এবারও সেইগুলোই পালন করবো। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবো সারাদেশে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাপার এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘জাপার নেতাদের মধ্যে কোনও সমন্বয় নেই। এখন দলে রওশন এরশাদের কোনও প্রভাব নেই। দলের কোনও কর্মসূচিতেও তিনি যান না। জাতীয় দিবস নিয়ে বাকিদের কারও কোনও চিন্তা নেই।’

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিব বর্ষ’ পালন করবে সরকার। পুরো বছর দেশব্যাপী উৎসব করা হবে। পাশাপাশি ২০২১ সালে স্বাধীনতার ‘সুবর্ণজয়ন্তী’ উদযাপন করবে বাংলাদেশ।