দেশে স্থাপিত সব ‘মূর্তি’ অপসারণ করার দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। শুক্রবার দুপুরে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সংগঠনটির ঢাকা মহানগর কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক শুকরিয়া আদায় মিছিলে এ দাবি জানান ঢাকা মহানগর হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী।
মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, ‘কোনও অবস্থায় রাস্তার পাশে মূর্তি স্থাপন মেনে নেওয়া চলবে না। এ দেশে মূর্তি সংস্কৃতি চলবে না।’
প্রধানমন্ত্রী তার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক মূর্তি সরিয়েছেন, সেজন্য তার প্রতি আমরা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি উল্লেখ করে কাসেমী বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যেন সবসময় ইসলামের খেদমত করতে পারেন এই দোয়া আমরা করছি।’
সমাবেশে হেফাজতের ঢাকা মহানগরের সহ সভাপতি মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, ‘বাংলার মাটিতে আর কোনও মূর্তি স্থাপন করা যাবে না। এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে তৌহিদী জনতা দাঁতভাঙা জবাব দেবে।’
এছাড়া, সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপিত গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে তৈরি ভাস্কর্যটি সরিয়ে নেওয়ায় জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে মিছিল পূর্বে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর ভাস্কর মৃণাল হকের তত্ত্বাবধানে মোট ২০ জন শ্রমিক সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপিত ভাস্কর্যটির ভিত ভাঙার কাজ শুরু করেন। প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় ভোর রাতে সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়।
- ভাস্কর্য সরানোর পর সুপ্রিম কোর্টের প্রথম সকাল
- ভাস্কর্য সরিয়ে নেওয়ায় ফেসবুকে ঝড়
- ভাস্কর্যটি এখন অ্যানেক্স ভবনের পানির পাম্পের পাশে (ভিডিও)
- ভিডিওতে ভাস্কর্য সরানোর কাজ
- ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টের সামনে বিক্ষোভ
- ভাস্কর্যটি যেখানে সরানোর কাজ চলছে
- প্রধান বিচারপতিই ভাস্কর্য স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন: অ্যাটর্নি জেনারেল
- ভাস্কর্য সরানোয় প্রধানমন্ত্রীকে হেফাজতের ধন্যবাদ
/সিএ/এমও/ এপিএইচ/