বর্তমান সরকারের অধীনেই সংসদ নির্বাচন চায় ওয়ার্কার্স পার্টি

রাশেদ খান মেনন (ফাইল ছবি)সংবিধানের আলোকে বর্তমান সরকারের অধীনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। তবে দলটি নির্বাচনের সময় স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে চায়। বুধবার পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে একটি প্রতিনিধি দল ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে এসব প্রস্তাবনা দেয়।
আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত সংলাপে সভাপত্বিত করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। সংলাপে ওয়ার্কাস পার্টির পক্ষ থেকে ১৪ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
সংলাপ শেষে পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ইসিতে দেওয়া দলের প্রস্তাবের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘কার অধীনে নির্বাচন হবে তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ আছে বলে মনে করি না। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। তবে নির্বাচনের সময় সরকার নিয়মিত কাজ ছাড়া নীতিগত কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না।’
নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে মেনন বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েনের কোনও অবকাশ নেই। এ বিষয়ে আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতা ভালো নয়, তবে কমিশন চাইলে ক্ষেত্রবিশেষ স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনা মোতোয়েন করতে পারে, যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করবে।’

সংলাপে দলটি পাইলট প্রকল্প হিসাবে ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছে। মেনন বলেন, ‘ব্যালট পেপারের পাশাপাশি প্রতিটি নির্বাচনি এলাকার এক বা দুইটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে ভবিষ্যতে ইভিএম ব্যবহারের পথ উন্মুক্ত হবে।’

এছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টি ধর্মীয় ও যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিলের সুপারিশ করে। একই সঙ্গে ইতিপূর্বে কোনও দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়ে থাকলে তা বাতিলের দাবিও জানায়। স্বতন্ত্র প্রার্থীতার ক্ষেত্রে বিদ্যমান ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর তালিকা দাখিলের বিধানটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে তা বাতিল চেয়েছে।

এ নিয়ে বুধবার পর্যন্ত ২৯টি দলের সঙ্গে মতবিনিময়ে বসলো নির্বাচন কমিশন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি এবং গণতন্ত্রী পার্টির সঙ্গে বৈঠক করবে ইসি। এছাড়া আগামী ১৫ অক্টোবর বিএনপি, ১৬ অক্টোবর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এবং সাম্যবাদী দল (এমএল), ১৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ, ১৯ অক্টোবর জাতীয় পার্টি (জেপি) এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে ইসি’র মতবিনিময়ের কথা রয়েছে। এছাড়া ২২ অক্টোবর পর্যবেক্ষক সংস্থা, ২৩ অক্টোবর নারী নেত্রী ও ২৪ অক্টোবর নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কমিশনের মতবিনিময়ের কথা রয়েছে।

ইসির ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, গত ৩১ জুলাই নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি। এরপর ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন।