প্রার্থী হওয়ার আগেই ভোটার তালিকার সিডি বাবদ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) টাকা আদায়ের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) উপ নির্বাচনে বাম-গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল দলগুলো মনোনীত প্রার্থী জোনায়েদ সাকি। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহকালে সাকিসহ তার সঙ্গে উপস্থিত কয়েকজন সিনিয়র নেতা এই প্রতিবাদ জানান।
এর প্রতিবাদ জানিয়ে জোনায়েদ সাকি রিটার্নিং অফিসার মো. আবুল কাশেমের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা এখনও প্রার্থী হইনি। মাত্র মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলাম। এরমধ্যেই ভোটার তালিকার সিডি বাবদ ২৭ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে। এটা কি ঠিক হচ্ছে? অথচ আগে নির্বাচন কমিশনা বিনা পয়সার প্রার্থীদের ভোটার তালিকা সরবরাহ করতো।’
জবাবে রিটার্নিং অফিসার মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রত্যেক প্রার্থীর জন্য ৫০০ টাকা করে ধরা হয়েছে। সব প্রার্থীকেই এই টাকা দিতে হবে, এখানে কমিশনের করার কিছুই নেই। ভোটাররা যাদের ভোট নিয়ে নির্বাচিত করেছেন তারাই এই আইন প্রণয়ন করেছে। আমরা সেই আইন অনুযায়ী চলি।’
তখন বাম নেতারা বলেন, ‘আমরা এর পরিবর্তন চাই। আমরা এর প্রতিবাদ করবো। আমাদের অবস্থান জানালাম। আমরা এ বিষয়ে কথা বলবো।’
এসময় রিটার্নিং অফিসার ভিন্ন প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘আপনারা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় দয়া করে কেউ ৫ জনের বেশি আসবেন না। আইনের বাধ্যবাধকতা আছে। এই নিয়মগুলো মেনে চলবেন। এছাড়া যেকোনও প্রয়োজনে নির্বাচনি গাইডলাইন অনুসরণ করবেন।’ এছাড়া নির্বাচনকালীন সময় কমিশনের পক্ষ থেকে ‘হেল্প ডেস্ক’ খোলা হবে বলেও জানান আবুল কাশেম।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর সাকি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘গত নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। সেই অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি চাই না। আমরা চাই নির্বাচন কমিশন কোনও দল, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রভাবে সমান সুযোগ যেন বিনষ্ট না করে।’
গণসংহতি আন্দোলনের এই প্রধান সমন্বয়কারীর ভাষ্য, ‘ঢাকাকে বাঁচাতে হবে। দুই দলীয় রাজনীতির বাইরে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতেই আমরা মেয়র নির্বাচন করছি।
আরও পড়ুন: ‘ডিএনসিসি নির্বাচন নিয়ে অতীত অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি চাই না’