তিন সিটির ভোটযুদ্ধেও থাকবে ইসলামী আন্দোলন

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেবে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে তিন সিটির প্রার্থীও চূড়ান্ত করেছে দলটি। ভোটের রাজনীতিতে এগিয়ে থাকতে নির্বাচনমুখী কার্যক্রমও চালাচ্ছে চরমোনই পীরের দলটি। যদিও অন্যান্য ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো এখনও এই তিন সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
ইসলামী আন্দোলন সূত্রে জানা যায়— ২ জুন দলটির নির্বাহী পরিষদের সভায় রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওযা হয়। তবে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।
সূত্র জানায়, সিলেট সিটি করপোরেশনে ইসলামী আন্দোলনের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. মোয়াজ্জেম হোসেনকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। বরিশালে আব্দুল্লাহ আল নাসের ও রাজশাহীতে মো. শফিকুল ইসলাম রয়েছেন প্রার্থী তালিকায় শীর্ষে।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিজয়ী হতে পারবো সেই আশায় প্রার্থী হচ্ছি। মানুষ পরিবর্তন চায়, কিন্তু দুটি দলের বাইরে কোনও দল নেই। যারা আছে তারাও ওই দুই দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ। ইসলামী আন্দোলন সেই বিকল্প হিসেবে মানুষের আগ্রহের জায়গায় রয়েছে। গত নির্বাচনগুলোতেও তা উঠে এসেছে।’

সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীরা বিজয়ী হবেন বলে মনে করেন দলটির মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি রাজনীতি সচেতন। আগে মানুষ দেখেছে, যারা ক্ষমতায় এসেছেন তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা রক্ষা করেননি। ফলে মানুষ একটি প্রতিশ্রুতিশীল দলকে ভোট দিতে চান। সেই হিসেবে মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে ইসলামী আন্দোলন।’

১৯৮৭ সালের ১৩ মার্চ প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর ইসলামী আন্দোলন কোনও জোট ছাড়াই ‘একলা চলো নীতি’ অবস্থানে রয়েছে। গত দুই-তিন বছরে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জ, রংপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও অংশ নিয়েছেন তারা। বিজয়ী হতে না পারলেও ভোট বেড়েছে দলটির।

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, ‘গত নির্বাচনগুলোতেও ইসলামী আন্দোলনের ভোট বেড়েছে। নারায়ণগঞ্জ, রংপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটপ্রাপ্তির হারে তিন নম্বর অবস্থানে ছিল আমাদের দল। মানুষের কাছাকাছি যেতে ও নৈতিক অবস্থানে থেকে মানুষের আস্থা ধরে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আমরা।’