সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর রাজধানীর হোটেল পূর্বানীতে সংবাদ সম্মেলন করে ইশতেহার প্রকাশ করা হয়।
ইশতেহারে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ। বিজয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনাসহ অনেক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে ঐক্যফ্রন্ট। এসব অঙ্গীকার পাঁচ বছরের মধ্যে পূরণ করা হবে বলে ইশতেহারে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে, জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় সর্বদলীয় সত্যানুসন্ধান ও বিভেদ নিরসন কমিশন গঠন, হত্যা ও গুম পুরোপুরি বন্ধ করা হবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল করা হবে। নির্বাচনকালীন সরকারের বিধান তৈরি করা হবে। পর পর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকা যাবে না।
গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১২ হাজার টাকা। প্রথম বছরে গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, ‘দেশের এই অবস্থা চলতে থাকলে একটি ভয়াবহ অবস্থার দিকে চলে যেতে পারে, যখন আমাদের কিছু করার থাকবে না। গত কয়েক দিনে গ্রেফতার ১৯০০ ছাড়িয়েছে। স্বাধীনতার ৪৭ বছরের মধ্যে অনেক নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু এত খারাপ অবস্থা কখনও ছিল না। এবার নির্বাচনে প্রার্থীদের ওপরে নজিরবিহীন আক্রমণ হয়েছে। এটা একটা লজ্জার বিষয়। জাতীয় লজ্জার বিষয়।’
পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বেআইনি হুকুম কোনও দিন হুকুম হতে পারে না। আইজি সাহেব, আপনার সুনাম আছে। এলোপাতাড়ি গ্রেফতার থেকে বিরত থাকুন। ’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদির সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের নেতা ড. রেজা কিবরিয়া, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।