জোরে ধাক্কা দিলে পড়ে যাবে সরকার: ড. জাফরুল্লাহ

সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীগণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘সরকারের অবস্থা এখন ভীষণ নড়বড়ে। একটু জোরে ধাক্কা দিতে পারলে তারা ক্ষমতা থেকে পড়ে যাবে। সরকারের মন্ত্রীই বলছেন আমলারা কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে। কিন্তু সরকার এই আমলাদের কিছু বলতে পারছে না। কারণ তাদের ওপর ভর করেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে আছে।’

শনিবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এক যৌথ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মওলানা ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী অনুসারী পরিষদ, ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন ও রাষ্ট্রচিন্তা এই সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে ড. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘সরকার দেউলিয়া হয়ে গেছে। দেউলিয়া কীভাবে তা পত্র পত্রিকায় দেখা যাচ্ছে। অর্থ, সম্পদ পাচার-চুরির কারণে এখন সরকারি তহবিল শুন্য। রাষ্ট্র চালাতে বাধ্য হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে যাকে তাকে জরিমানা করে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করছে।’

সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি তার বক্তব্যে বলেন, ‘বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকার কারণে জনগণকে ভয় পায় এই সরকার। তাই জনগণের আন্দোলনে লেলিয়ে দেওয়া হয় পেটুয়া বাহিনীকে। জনগণ একদিন এই সরকারকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করাবে। তাই মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর দেওয়া নির্দেশনার পথেই চলতে হবে।’

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘দেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। সরকার দিল্লির দাসত্ব করে ক্ষমতায় আছে। তরুণরাই এই বাংলাদেশকে নতুন করে বিনির্মাণ করবে। বাংলাদেশ ভয়াবহ এক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই সময়ে মাওলানা ভাসানীকে খুব দরকার। ভাসানী যেকোনও বিভাজনের বাইরে গিয়ে রাজনীতি করতেন, রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করতেন। বাংলাদেশ এমন সমাধানের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।’

সমাবেশে আয়োজক চার সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি যৌথ ঘোষণা পাঠ করা হয়। সমাবেশে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব রাশিদুল ইসলাম।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য হাসনাত কাইয়ূম, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আক্তার, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রাশেদ খান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আবদুর রহমান প্রমুখ।