‘চলচ্চিত্রকে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ধারণ করতে হবে’

চলচ্চিত্রকে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ধারণ করতে হবে বলে মনে করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্রকে গণমানুষের মানবিক ও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ধারণ করা প্রয়োজন। চলচ্চিত্র একদিকে সামাজিক বাস্তবতাকে যেমন তুলে ধরছে তেমনি মানুষের বেঁচে থাকার আকুতি আর স্বপ্নকে সেলুলয়েডে জীবন্ত করে তুলছে। সবচেয়ে শক্তিশালী শিল্পমাধ্যম হিসাবে চলচ্চিত্র নতুন মানবিকতা, নতুন সমাজ-সভ্যতার দিশাও তুলে ধরতে পারে।’

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে ‘চলচ্চিত্র ও জাতীয় মুক্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সাইফুল হক।

তিনি বলেন, ‘পুঁজি ও পুঁজিবাদ মানুষের সুকুমারবৃত্তি, স্নেহ, প্রেম, ভালবাসাসহ জীবন-জীবিকার সমস্ত অনুষঙ্গকে কেনাবেচা আর মুনাফার বিষয়ে পরিণত করেছে। এদেশের শাসকশ্রেণি আর নীতিনির্ধারকেরাও আজ পুঁজিবাদের ব্যক্তিকেন্দ্রিক ভোগসর্বস্ব সংস্কৃতির সহযোগীতে পরিণত হয়েছে। এই সুযোগে সমাজে নিয়তিনির্ভর কূপমণ্ডূক পশ্চাৎপদ ধ্যান-ধারণা জেঁকে বসেছে।’

‘এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পরিবর্তনকামী রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশাপাশি চলচ্চিত্রসহ বিভিন্ন শিল্পমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে’ বলে যোগ করেন সাইফুল হক।

খায়রুল বাসার হিরনের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় মূল ভাবনা পাঠ করেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা আজিজ টিপু। আলোচনা করেন মাসিক জনগণতন্ত্র পত্রিকার সম্পাদক বহ্নিশিখা জামালী, সংহতি সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি ইফতেখার আহমেদ বাবু, নাট্য নির্দেশক ও অভিনেতা শাহজাহান শোভন, নৃত্যকার পরান বাবু, রিয়াজ রাজ প্রমুখ।