‘হেফাজতের কার্যক্রম রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’

বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী বলেছেন, ‘অরাজনৈতিক ইসলামি সংগঠন দাবি করলেও বাস্তবে হেফাজতে ইসলামের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। এদের বাড়াবাড়ি ও ঔদ্ধত্যের উৎস কোথায় তা সরকারকে খতিয়ে দেখতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সাইফুদ্দিন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকালে দেশে যখন জাতীয় ঐক্য ও উচ্ছ্বাস উদ্দীপনা চলছিল, তখনই তা রুখে দিতে হেফাজতিরা মাঠে নেমে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করছে।’ এর পেছনে জামায়াতে ইসলাম কলকাঠি নাড়ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘হেফাজত-জামায়াতিরা দেশে শান্তি-স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি স্বরূপ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখা যখন অনিবার্য, তখনই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামায়াত ও হেফাজতিরা দেশবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।’

সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে ঢাকা-চট্টগ্রাম-ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতিরা যে তাণ্ডব চালিয়েছে, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, জ্বালাও পোড়াও করেছে, তাতেই প্রতীয়মান হয়, ওরা আদতে ইসলামের হেফাজতকারী নয়। ওরা উগ্র সন্ত্রাসবাদী ও জঙ্গিগোষ্ঠী। হেফাজতি তাণ্ডবের পেছনে যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতও জড়িত। এরাই মূলত কলকাঠি নাড়ছে। তাই, হেফাজতি-জামায়াতিদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক। না হয় তাদের আস্ফালন আরও বেড়ে যাবে।’

তিনি দেশবাসী ও হাক্কানি পীর ওলামা মাশায়েখকে এই উগ্রবাদী অপশক্তিকে প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।