সরকার ‘মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার’কে স্বীকৃতি দেয়নি: সাইফুল হক

বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গৃহীত “স্বাধীনতার আদেশ ঘোষণা” দলিল মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের রাজনৈতিক, আইনগত ও নৈতিক ভিত্তি নিশ্চিত করে। নবগঠিত সরকারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পথও প্রশস্ত করে। কিন্তু বর্তমান সরকার তাদের হীনমন্যতার কারণে তাজউদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বাধীন মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারকে উপযুক্ত স্বীকৃতি ও মর্যাদা দেয়নি।

শনিবার (১০ এপ্রিল) বিকালে সেগুনবাগিচার সংহতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে সাইফুল হক এসব কথা বলেন। ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র দিবস উপলক্ষে দলের ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন পরিষদের’ উদ্যোগে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

সাইফুল হক আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার আদেশ ঘোষণা’র যুগান্তকারী এই দলিল সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাজনৈতিক দিশাও নির্ধারণ করে দেয়; দেশের চলার পথ হিসাবে ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার’ প্রতিষ্ঠা করাকে পরম লক্ষ্য হিসাবে নির্দিষ্ট করে দেয়। বস্তুত: এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে মুক্তিপাগল এই দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাংখারই প্রতিফলন ঘটে।’

তিনি বলেন, ‘পরিতাপের বিষয় গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশকে এই ঘোষণার বিপরীতেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সাম্যের পরিবর্তে মারাত্মক অসাম্য সৃষ্টি হয়েছে; মানবিক মর্যাদা আর সামাজিক ন্যায়বিচার অস্বীকৃত।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, সোনার বাংলা পার্টির সভাপতি আবদুর নূর ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন অর রশীদ, সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন পরিষদের সদস্যসচিব ইফতেখার আহমেদ বাবু, অনলাইনে যুক্ত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডঃ এম. আখতারুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, গবেষক চারু হক প্রমুখ।