দুই অনুষ্ঠানের প্রভাবে দেশ আজ  বিপর্যস্ত: মান্না

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান অভিযোগ করেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের প্রভাবে দেশ বিপর্যস্ত। তিনি বলেন, ‘এপ্রিল মাসে আমরা সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছিলাম, দুই অনুষ্ঠানের প্রভাবে দেশ আজ বিপর্যয়ের মুখোমুখি। দু’মাস পর সেই সন্দেহই বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে।’

বুধবার (৭ জুলাই) বিকালে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুর রহমান মান্না এসব অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে মান্না এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে দেশে করোনার ইউকে  এবং সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেলেও তা জানানো হয়েছিল মার্চ মাসে এসে। এর মধ্যে দেশে অনেকগুলো তথাকথিত স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে। মার্চ মাসের শুরুতেই করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ দেখা গেলেও মার্চের শেষ দুই সপ্তায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান জাঁকজমকভাবে পালন করার জন্য সরকার অন্যান্য ক্ষেত্রে কোনও কথা বলেনি। মূলত এই দুইটি অনুষ্ঠানই এই জাতিকে ভয়ঙ্কর ঝুঁকির সামনে ফেলে দিয়েছিল, যার খেসারত দিচ্ছে পুরো দেশ।’

‘যার ফলশ্রুতিতে এখন দেশে এক দিনে ১১ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত এবং দেড় শতাধিক মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। এই মানুষগুলোর জীবনের চেয়ে কি ওই দুটো অনুষ্ঠান পালন বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল?’, বলে প্রশ্ন করেন মান্না।

টিকার অনিশ্চয়তা নিয়ে মান্না বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে দেশ। হার্ড ইমিউনিটির জন্য দেশের ১৩ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। অথচ কয়েক লাখ টিকার ব্যবস্থা করেই সরকারের অথর্ব স্বাস্থ্যমন্ত্রী গলাবাজি শুরু করেছেন।’

মান্না দাবি করেন, অবস্থা দেখে যা বোঝা যাচ্ছে, তাতে এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে আগামী বছরের মধ্যেও ১৩ কোটি তো দূরের কথা, ৩ কোটি মানুষকেও করোনা টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না।   

সংবাদ সম্মেলনে মান্নার অভিযোগ, দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে সরকার। তিনি বলেন, ‘যেখানে সারা বিশ্ব করোনা প্রকোপ কিছুটা কমার সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুর চেষ্টা করেছে, সেখানে আমাদের দেশে সবকিছু চালু করলেও একবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’