‘শিক্ষাব্যবস্থায় সফলতা দেখাতেই প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ঘোষণা’ 

শিক্ষাব্যবস্থায় নিজেদের সফলতা দেখাতে সরকার তড়িঘড়ি করে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পিইসি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় সংগঠনটি এ মন্তব্য করে।

সংগঠনটির সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, পিইসি পরীক্ষা নিয়ে ফলাফলে ‘এ প্লাস’র সংখ্যা বাড়িয়ে করোনাকালে শিক্ষাব্যবস্থার সফলতা দেখানোই সরকারের একমাত্র উদ্দেশ্য। এখানে শিক্ষার্থীদের জীবন বাঁচানোর কোনও পরিকল্পনা নেই। 

তিনি বলেন- শিক্ষার্থীরা তাকে জানিয়েছে, পিইসি পরীক্ষার মাধ্যমে তারা হয়তো দুটি সার্টিফিকেট পাচ্ছে কিন্তু হারাচ্ছে তাদের শৈশব। অভিভাবকদের মতে, শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট শিক্ষক আর কোচিং করেই তাদের পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে যায়। 

সংগঠনটি থেকে বলা হয়, পিইসি পরীক্ষা শিশু শিক্ষার্থীর ওপর চাপিয়ে দেওয়া এক ধরনের প্রহসন। দেড় বছর ধরে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না। সেই স্কুল শুরু করা এখন একটা চ্যালেঞ্জের বিষয়। অথচ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে শ্রেণি পাঠদান শুরু করা যায় সেদিকে মন না দিয়ে তড়িঘড়ি করে পিইসি পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে দেয় সরকার। এতে শিক্ষার্থীরা মানুষিক চাপের মধ্যে পড়বে। 

সংগঠনটির দাবি, পিইসি পরীক্ষা নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।