বিএনপি জোট ছাড়ার ঘোষণা খেলাফত মজলিসের

এবার বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে খেলাফত মজলিস। শুক্রবার (১ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনের সীগাল রেস্টুরেন্টে দলের মজলিসে শুরার বৈঠক শেষে তাদের আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক প্রেস ব্রিফিংয়ে জোট ছাড়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

এর আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ছেড়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও ইসলামী ঐক্যজোটসহ আরও কয়েকটি দল।

খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘খেলাফত মজলিস একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতির প্রয়োজনে সর্বদা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। নিয়মতান্ত্রিক-শান্তিপূর্ণ আন্দোলন-সংগ্রামে খেলাফত মজলিস বিশ্বাসী। একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন হিসেবে দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি সময় রাজনৈতিক অঙ্গনে দেশ, জাতি, ইসলাম ও জনগণের পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে আসছে দলটি। খেলাফত মজলিস মনে করে, দেশের প্রতিটি নাগরিকের রাজনৈতিক মতাদর্শ লালন করার অধিকার আছে, যা আমাদের সংবিধানেও স্বীকৃত। একটি সরব সক্রিয় নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে খেলাফত মজলিসের রাজনৈতিক কর্মকৌশল সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় সময়ে সময়ে পর্যালোচনা করে, দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে।’

তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত মজলিসে শুরার অধিবেশনে ২০ দলীয় জোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে পরবর্তী সিদ্ধান্তের আগ পর্যন্ত খেলাফত মজলিস জোটের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। সে অনুযায়ী দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আসছে।’

মাওলানা ইসহাক বলেন, ‘রাজনৈতিক জোট ইস্যু কেন্দ্রিক গঠিত হয়। জোট কোনও স্থায়ী বিষয় নয়। খেলাফত মজলিস ২০ দলীয় জোটে দীর্ঘ ২২ বছর ধরে আছে। ২০১৯ সাল থেকে ২০ দলীয় জোটের দৃশ্যমান রাজনৈতিক তৎপরতা ও কর্মসূচি নেই। ২০১৮ সালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মধ্য দিয়ে ২০ দলীয় জোটকে কার্যত রাজনৈতিকভাবে অকার্যকরও করা হয়। এমতাবস্থায় আদর্শিক, সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০১৯ সালে মজলিসে শুরায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খেলাফত মজলিস আজকের অধিবেশনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, খেলাফত মজলিস একটি আদর্শিক রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে স্বকীয়-স্বাতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে ময়দানে ভূমিকা রাখবে এবং এখন থেকে ২০ দলীয় জোটসহ সব রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আমিরের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদেরের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়।

আরও পড়ুন...

বিএনপি জোট ছেড়ে দেবে খেলাফত মজলিস?

এবার বিএনপি-জোট ছাড়ার আলোচনা খেলাফত মজলিসে

শিবিরের সাবেক সভাপতি আহমদ আবদুল কাদের,

জামায়াতের ৭১-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম

খেলাফত মজলিস: বন্ধ থাকে কার্যালয়, কাজ চলে আমিরের বাসায়