শ্রমিক-কৃষকের দুর্দশার জন্য দায়ী সাম্রাজ্যবাদ ও স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা

শ্রমিক-কৃষক-জনগণের দুঃখ-দুর্দশার জন্য দায়ী সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের স্বার্থরক্ষাকারী স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা । যে কারণে ক্ষমতাসীন প্রতিটি সরকারই জাতীয় ও জনস্বার্থকে উপেক্ষা করে প্রভুর স্বার্থ রক্ষা করে।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে কমরেড আবদুল হকের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় আগত আলোচকরা এসব কথা বলেন।

আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশ একটি নয়া ঔপনিবেশিক আধা সামন্তবাদী দেশ। এদেশে কখনও গণতন্ত্র ছিল না এবং এখনও নেই। আমাদের মতো দেশে সকল কিছুর নিয়ন্ত্রক ও পরিচালক সাম্রাজ্যবাদ। তাই সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের উচ্ছেদের সংগ্রামই হচ্ছে জাতীয় মুক্তি, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মৃত্যুবার্ষিকী পালন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ব্রি. জে. (অব.) এম. জাহাঙ্গীর হোসাইন। আলোচনা করেন জাতীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চৌধুরী আশিকুল জালম, সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক ঐক্যের সংগঠক ও সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির নেতা শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সহ-সভাপতি খলিলুর রহমান খান, ধ্রুবতারা সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি শ্যামল কুমার ভৌমিক, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি-এর সাধারণ সম্পাদক ও উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য শাহজাহান কবির।