‘সুষ্ঠু নির্বাচনের সংকট সংবিধানেই’

রাজনৈতিক সংগঠন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মনে করে– সুষ্ঠু নির্বাচনের সংকট আইন তৈরিতে নয়, মূল সমস্যা হলো সংবিধানের বিদ্যমান ক্ষমতা কাঠামো। সদ্য পাস হওয়া নির্বাচন কমিশন আইন বা অন্য কোনও ভালো আইন কিংবা কোনও ভালো ব্যক্তি বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এসব অবস্থান ব্যক্ত করেছে সংগঠনটি।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের দৃষ্টিতে, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই মুহূর্তে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নির্বাচন কমিশন গঠন। বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। জাতীয় সংসদে পাস হওয়া বিলে ‘সার্চ কমিটি’র মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। অথচ দুই-দুইবার দীর্ঘ সময় নিয়ে সংলাপ করে ‘সার্চ কমিটি’র মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশন পরিচালিত গত দুটি নির্বাচন আমাদের স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, পদ্ধতিটি ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু সরকার এই ব্যর্থ পদ্ধতিই এবার আইন করে জাতির ঘাড়ে চাপানোর ব্যবস্থা করেছে।”

সংগঠনের মিডিয়া ও প্রচার সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘বর্তমান পরিস্থিতি উত্তরণে আবারও ১৯৯০ সালের মতো নির্বাচন করলেও চলবে না। এর স্থায়ী সমাধান হলো, ১৯৭০ সালের মতো সংবিধান সভা নির্বাচন করে বর্তমান সংবিধান সংস্কার করা। বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ধরনের নির্বাচন শুধু ঐক্যমতের ভিত্তিতে গঠিত জাতীয় সরকারের অধীনেই আয়োজন করা সম্ভব। কিন্তু কোনোভাবেই এই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে নয়।’