জন্মবার্ষিকীতে সিপিবির মুক্ত আলোচনা

‘বিরোধিতাকারীরাও কার্ল মার্কসের অবদান অস্বীকার করতে পারেনি’

কার্ল মার্কসের ২০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মুক্ত আলোচনা করেছে সিপিবি। শুক্রবার (৬ মে) রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তি ভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি’র তত্ত্ব, শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের উদ্যোগে ‘কার্ল মার্ক্স ও বাংলার গ্রাম সমাজ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

১৮১৮ সালের ৫ মে জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেন পৃথিবীর অন্যতম খ্যাতনামা এই সমাজচিন্তক।

আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে শাহিন রহমান বলেন, ‘মুক্ত মানবের মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং মানবমুক্তির সংগ্রামে মহামতি কার্ল মার্কস ছিলেন উজ্জ্বল বাতিঘর এবং পথপ্রদর্শক। দর্শন, অর্থশাস্ত্র এবং সামাজিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিপ্লবী চিন্তার প্রয়োগ ঘটানোর পাশাপাশি তিনি সমাজ প্রগতির বিপ্লবী সংগ্রামকে দিয়েছেন বিপ্লবী পথনির্দেশনা।’

সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম  বলেন, ‘কমিউনিস্টদের সত্যের অনুসন্ধান করতে হবে। জ্ঞানের একটা বৈশ্বিক আন্তঃসম্পর্ক রয়েছে। কার্ল মার্কসকে আমাদের জানতে হবে, তার সত্যকে বের করার পদ্ধতির মধ্যে দেখতে হবে।’

সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘মার্কসের বিরোধিতাকারীরাও তার অবদান অস্বীকার করতে পারেনি। নানা কৌশলে তারা মার্কসবাদকে আক্রমণ করলেও, একজন চিন্তক ও দার্শনিক হিসেবে তার শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। নানা অপপ্রচার স্বত্ত্বেও সারা দুনিয়ার মানুষ শ্রেষ্ঠ চিন্তক হিসেবে কার্ল মার্কসকেই নির্বাচিত করেছেন।’

লিখিত বক্তব্যে লাকী আক্তার বলেন, ‘ভারতবর্ষ নিয়ে পড়াশোনা, কিংবা লেখার সময় মার্কসের চিন্তায় একটাই মূল প্রশ্ন ছিল— ভারতীয় সমাজের ঐতিহাসিক অগ্রগতি সম্ভাবনা কি? কোন পথে সে অগ্রগতি সম্ভব? সে পথে বাধা কোথায়? সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো— সময়ের পরিক্রমায় মার্কসের ভারতবর্ষে ঔপনিবেশিক অনুপ্রবেশ সম্পর্কে মতামত পুরোটাই পাল্টে গেছে। ভারতবর্ষের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে  মার্কসের এই মতামত এবং চিন্তা পদ্ধতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’