‘সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে আলোচনা হতে পারে’

নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠনের লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। বুধবার (১৮ মে) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

বুধবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক  আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ‘আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় আওয়ামী লীগের আপত্তি নেই’ বলে জানান। তার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সাইফুল হক বলেন, ‘সরকার নির্বাচনের আগে কীভাবে পদত্যাগ করবে, কীভাবে নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠিত হতে পারে, এসবই আলোচনার প্রধান বিষয় হওয়া উচিত।’

সাইফুল হক বলেন, ‘আমাদের পুরো নির্বাচনকেন্দ্রিক যে সংকট, এই সংকট হলো রাজনৈতিক সংকট। সুতরাং, সরকারকে বা সরকারে থাকা দলকে রাজনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া দরকার। রাজনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে, দলগুলোর সঙ্গে একটা বিশ্বাসযোগ্য আলোচনা করা প্রয়োজন। নির্বাচনকেন্দ্রিক গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডার যারা আছেন, তাদের সঙ্গেও আলোচনা করা যেতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘এ আলোচনার সমস্যা হচ্ছে— ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের যে করুণ অভিজ্ঞতা, তিনি যে অঙ্গীকার করেছিলেন, আসলে তার সরকার সে অঙ্গীকার রাখতে পারেনি। ফলে পুরো নির্বাচনটা এক অর্থে ব্যর্থ হয়েছে।’

টোল পুনর্নির্ধারণ করুন

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক মনে করেন, অত্যাধিক টোল পদ্মাসেতুকে নিয়ে মানুষের স্বস্তিকে অস্বস্তিতে ফেলে দেবে। বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত এই অস্বাভাবিক টোলের দায়ভার সাধারণ মানুষকেই বহন করতে হবে। অত্যাধিক এই টোলের কারণে সব পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি পাবে এবং এই দুর্মূল্যের বাজারে মানুষের ওপর নতুন চাপ তৈরি হবে।’

বিবৃতিতে তিনি টোলের পরিমাণষ কমিয়ে টোল পুনর্নির্ধারণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।