গণসংহতি আন্দোলনকে অবিলম্বে নিবন্ধনের দাবি

গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন প্রদানে হাইকোর্টের আদেশের দীর্ঘদিন পর নির্বাচন কমিশন আপিল দায়ের করায় বিস্ময় প্রকাশ করে অবিলম্বে নিবন্ধনের দাবি জানানো হয়েছে।

সোমবার (৬ জুন) গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন প্রদানে আদালতের নির্দেশনার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের আপিল প্রতিক্রিয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করা হয়।

নেতারা বলেন, আদালতের রায় প্রদানের তিন বছর পর এ ধরনের (দল হিসেবে নিবন্ধনের বিষয়ে) আপিল প্রক্রিয়ার কী মানে, সেটাই বারবার ভাবতে হচ্ছে। কী কারণে এতদিন পর নির্বাচন কমিশন এই আপিলের উদ্যোগ নিয়েছে সেটাই এক অর্থে বিস্ময়ের। এটা নিয়ে আইনের তামাদিসহ অন্য বিষয়ে আমাদের আইনজীবীসহ অন্য বিশেষজ্ঞরা শিগগিরই খতিয়ে দেখবেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গণসংহতি আন্দোলন ২০১৭ সালে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলে নির্বাচন কমিশন সেই আবেদন নাকচ করে দেয়। নির্বাচন কমিশনের ওই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। সেই  রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন ২০১৯ সালে আপিল দায়ের করলেও শুনানির কোনও উদ্যোগ নেয়নি। অথচ  সোমবার (৬ জুন) এক দরখাস্ত দাখিল করে চেম্বার জজ আদালতে হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত চাইলে আদালত তাতে কোনও প্রকার আদেশ দেননি। মূল আপিলটি আগামী ১৪ আগস্ট শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।

অপরদিকে উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন না করার কারণে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার জন্য শাস্তি প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করলে আদালত তাতে রুল ইস্যু করেন, যা বর্তমানে বিচারাধীন আছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।