ইসির সংলাপে বিজেপির ১৩ প্রস্তাবনা

নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারসহ ১৩ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি- বিজেপি। দলের চেয়ারম্যান ডা. এম এ মুকিতের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে এ প্রস্তাব দিয়েছে।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার প্রেক্ষাপটকে দুঃখজনক উল্লেখ করে দলটি বলছে, বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠিত হওয়ার পর অনেক প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে।

১৩ প্রস্তাবনা

১.  সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের জন্য সরকারের কাছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ হতে প্রস্তাব পাঠানো।

২. নির্বাচনের কমপক্ষে ৬ মাস আগে ভোটারদের হালনাগাদ তালিকা ওয়েব সাইটের মাধ্যমে প্রকাশ।

৩. নির্বাচনের তিন মাস আগ থেকে এবং নির্বাচনের পরবর্তী কমপক্ষে একমাস পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা।

৪. জাতীয় নির্বাচন প্রশাসনিক বিভাগওয়ারি অর্থাৎ এক বিভাগে একদিন নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং নির্বাচন শেষে একদিনে নির্বাচনের ফল ঘোষণা।

৫. রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের নির্বাচন পরিচালনার সব পর্যায়ে দায়িত্ব প্রদান থেকে বিরত রাখা।

৬. গোপন কক্ষ ব্যতীত প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ও বুথে সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং ভোটকেন্দ্রের বাইরে বড় মনিটরে প্রদর্শনের ব্যবস্থা।

৭. প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্বুক্ত করে বিদেশে অবস্থিত দূতাবাস ও কন্সুলেটগুলোতে তাদের ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা।

৮. আগামী নির্বাচন থেকেই স্বল্প পরিসরে হলেও ই-ভোটিং চালুর প্রস্তাব করছি। বাসায় বসে চোখের আইরিশ বা ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহার করে ভোটদানের ব্যবস্থা।

৯. ভোটারদের মধ্যে ইভিএমের বিষয়ে গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি না করে ইভিএম চাপিয়ে না দেওয়া।

১০. সন্ত্রাস-পেশী শক্তি প্রদর্শন রোধের জন্য প্রার্থীদের নিজ উদ্যোগের সব ধরনের মিছিল ও জনসভা নিষিদ্ধ করে প্রতিটি সংসদীয় আসনে নির্বাচন কমিশনের খরচে ও উদ্যোগে অংশ গ্রহণকারী সব প্রার্থীর পর্যাপ্ত পরিমাণ পরিচিতি সভা অনুষ্ঠানের বিধান করা।

১১. সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নসহ এবং নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা রোধ কল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ।

১২. ব্যালট পেপারে ‘না’ ভোটের বিধান চালু করা।

১৩. নির্বাচন কমিশন এখন থেকেই সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ।