যুগপৎ আন্দোলন চান বাম নেতারা

বর্তমান সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে যুগপৎ আন্দোলনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাম রাজনৈতিক নেতারা। রবিবার (২ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন, কৃষক শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান ও সমসাময়িক রাজনীতি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তারা এ কথা বলেন। গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য এই বৈঠকের আয়োজন করে।

গোলটেবিল বৈঠকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক বলেন, ‘করোনার কারণে প্রায় চার কোটি মানুষ গরিবের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রার মান কমেছে। তাই আজ লাখ লাখ মানুষ মাঠে নামছে। কারণ, মানুষ এই সরকারকে আর দেখতে চায় না। এই সরকারকে নির্বাচনের আগে পদত্যাগে বাধ্য করতে যুগপৎ আন্দোলনের বিকল্প নেই।’

বাসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘বর্তমান সরকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় বসে আছে। নির্বাচন যে কমিশনের অধীনে হবে তারা নিরপেক্ষ না হলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না।’

বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরী বলেন, ‘গণমানুষের অধিকার আদায় করার জন্য আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। ২০১৪ সাল থেকে স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে।’

সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সামছুল আলম বলেন, ‘কলঙ্কিত অধ্যায় তৈরি করার জন্য আমাদের পূর্বসূরিরা দেশ স্বাধীন করেনি। সব স্তরের শ্রমিকরা ২০ হাজার টাকা মজুরির জন্য আন্দোলন করছে। ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু শ্রমিকের মজুরি বাড়েনি। রাষ্ট্র চালাতে না পারলে ক্ষমতা ছেড়ে দিন।’

গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন কৃষক শ্রমিক পার্টি (কেএসপি)-এর সভাপতি সিরাজুল হক, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড বিধান দাস, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব হারুন আল রশিদ খান প্রমুখ।