২০২৩ সাল হবে জনগণের মুক্তির বছর: মান্না

দেশে আমদানি করা এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সব অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহারের নির্দেশের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘সরকার জনগণের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) দিয়ে এই নির্দেশনা দিয়েছে। তবে ২০২৩ সাল হবে জনগণের মুক্তির বছর।’

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার সই করা এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক মান্না বলেন, ‘ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর নিজের মালিকানার বিজয় কি-বোর্ড তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চাপিয়ে দেওয়া অনৈতিক এবং বেআইনি। তিনি সরকারের কাছে কত টাকায় এটা বিক্রি করেছেন তা প্রকাশ করা হয়নি। এভাবে স্মার্টফোনে কোনও অ্যাপ প্রি-ইনস্টল থাকা ব্যবহারকারীর জন্য চরম নিরাপত্তা হুমকি।’

শঙ্কা প্রকাশ করে ডাকসুর দুইবারের এই ভিপি বলেন, ‘সরকার বিজয়ের সঙ্গে ইন্টিগ্রেটেড কোনও ম্যালওয়্যার ফোনে ঢুকিয়ে দিলে তা ফোনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। এভাবে তারা ব্যবহারকারীর সব বিষয়ের ওপর নজরদারি করতে পারবে। ফেসবুকের মতো সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড এমনকি ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ডের নিয়ন্ত্রণও চলে যেতে পারে তাদের হাতে। বিজয় কিবোর্ড ব্যবহার না করলেও ইনস্টল করলেই ম্যালওয়্যার ঢুকে যাবে।’

অবিলম্বে বিটিআরসির বিজয় ইনস্টলের নির্দেশনা বাতিলের দাবি জানিয়ে মান্না বলেন, ‘কোনও মতলববাজি করে লাভ হবে না। বর্তমান ক্ষমতাসীনদের দেশের জনগণ যেমন বিশ্বাস করে না, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও এই সরকার স্বৈরাচার হিসেবে স্বীকৃত।’ ২০২৩ সালকে মুক্তির বছর উল্লেখ করে জনগণকে যুগপৎ আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানান তিনি।