‘বাজেটে দীর্ঘমেয়াদি ভিশন থাকলেও চাপে পড়বে সাধারণ মানুষ’

ইসলামিক গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘২০২৩-২৪ সালের প্রস্তাবিত অর্থবছরের বাজেটকে পুরোপুরি অভিনন্দনযোগ্য বলার কোনও সুযোগ নেই। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার প্রস্তাবিত বাজেটে দীর্ঘমেয়াদি ভিশন রয়েছে, যার মধ্য দিয়ে আগামীতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কোন দিকে, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনসহ নানা বিষয়ের পথপরিক্রমা বাতলে দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো বাজেট প্রতিক্রিয়ায় ইসলামিক গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল এসব কথা বলেন।

আউয়াল বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে সরাসরি ট্যাক্সের পাশাপাশি সবকিছুতেই ইনডিরেক্ট ট্যাক্স দেওয়া হয়েছে। এতে সাধারণ ও মধ্যবিত্তের কষ্ট বাড়বে। জিনিসপত্রের দাম এমনিতেই ঊর্ধ্বমুখী। এখন আরও বাড়বে। মানুষের আয় কমেছে কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলবে।’

এম এ আউয়াল বলেন, ‘বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এই বিষয়টি ইতিবাচক। তবে এই আয়সীমা অন্ততপক্ষে পাঁচ লাখ করার সুযোগ করা যেতে পারে। সামাজিক সুরক্ষা খাত, স্বাস্থ্য, কৃষিতে বরাদ্দ বাড়লেও চলতি অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া দুঃখজনক।’

তিনি আরও বলেন, ‘মোবাইল ফোন, পেনড্রাইভ, এসডি কার্ড, স্ক্যানার, প্রিন্টার, সিসি টিভি, ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক হোম অ্যাপ্লায়েন্স এখন আর বিলাসী দ্রব্য নয়। উপরন্তু বাজেটে এসবের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশে’র প্রত্যয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

‘এলপি গ্যাস সিলিন্ডার, সিমেন্ট, কলম, চশমা, কাগজের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়বে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের ওপর’ মন্তব্য করে এম এ আউয়াল বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে জমি ও ফ্ল্যাটের বিপরীতে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি। এতে দেশের টাকা বিদেশে পাচার হওয়ার আশঙ্কা শতভাগ। পাশাপাশি বাজেটে জমি রেজিস্ট্রেশনকালে উৎসে আয়কর বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, সিমেন্ট, পাথর, টাইলস, লিফট, সিরামিক, গ্যাস, সুইচ-সকেট, ক্যাবল, কিচেনওয়্যারসহ কমপক্ষে ১০ থেকে ১২টি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এসব পণ্যের দাম সরাসরি ফ্ল্যাট ক্রেতার ওপর পড়বে এবং নিঃসন্দেহে তা আবাসন শিল্পে সংকট তৈরি হবে।’