কর্নেল তাহের মহানায়ক, জিয়া খলনায়ক: ইনু

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, কর্নেল তাহের একজন মহান দেশপ্রেমিক, বিপ্লবী ও মহানায়ক। আর জিয়া একজন বিশ্বাসঘাতক খলনায়ক। কারণ জিয়া তার প্রাণ রক্ষাকারী কর্নেল তাহেরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে সাজানো বিচারে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে হত্যা করে।

শুক্রবার (২১ জুলাই) জাসদ কার্যালয়ের শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে মহান বিপ্লবী শহীদ কর্নেল তাহেরের (বীর উত্তম) ৪৭তম হত্যাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভার আয়োজন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।

আলোচনা সভায় হাসানুল হক ইনু বলেন, শহীদ কর্নেল তাহের ছিলেন একজন মহান দেশপ্রেমিক ও বিপ্লবী। কর্নেল তাহের চেয়েছিলেন ঔপনিবেশিক আমলের রাষ্ট্র-প্রশাসন-আইন-কানুন এবং পুঁজিবাদী ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী দেশি-বিদেশি শক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যা করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ধারায় ঠেলে দেয়।

জাসদ নেতা বলেন, শহীদ কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাধারণ সিপাহীরা বঙ্গবন্ধুর খুনি ও উচ্চাভিলাষী সামরিক অফিসারদের ক্ষমতা দখলের রাজনীতি ক্যু-পাল্টা ক্যুর বিরুদ্ধে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক সিপাহী বিদ্রোহ সংগঠিত করেছিল।

তিনি বলেন, যে দেশি-বিদেশি চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, তারাই জিয়ার নেতৃত্বে সিপাহী বিদ্রোহকে নস্যাৎ করতে শহীদ কর্নেল তাহের, বিদ্রোহী মুক্তিযোদ্ধা সিপাহী এবং জাসদের ওপর মরণ কামড় হানে। জিয়া তার প্রাণ রক্ষাকারী কর্নেল তাহেরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে সাজানো মিথ্যা মামলায় প্রহসনমূলক বিচারে কর্নেল তাহেরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে হত্যা করে। জাসদ নেতাদের দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে।

সাবেক তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, তাহেরকে হত্যা করেছিল, জাসদকে নির্মূল করতে চেয়েছিল, তারা এখনও পাকিস্তানপন্থার রাজনীতিরই ধারক-বাহক। এরা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আদি শত্রু। এরা দেশে সাংবিধানিক ধারা বানচাল করে নির্বাচনী ব্যবস্থার বিরোধিতা করে অসাংবিধানিক-অস্বাভাবিক সরকার এনে ঘোলা জলে পাকিস্তানপন্থার রাজনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।

তিনি আরও বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, তাহেরকে হত্যা করেছিল, জাসদকে নির্মূল করতে চেয়েছিল, তারা এখনও পাকিস্তানপন্থি রাজনীতির ধারক-বাহক। এরা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আদি শত্রু। এরা দেশে সাংবিধানিক ধারা বানচাল করে এবং নির্বাচনী ব্যবস্থার বিরোধিতা করে অসাংবিধানিক সরকার এনে পাকিস্তানপন্থি রাজনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া।

জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার বলেন, দেশকে সংবিধানের বাইরে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের রাজনীতি মোকাবিলার সংগ্রামের সমান্তরালেই শ্রমিক-নারী-সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম পরিচালনা করতে হবে।

জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নুর পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট রবিউল আলম, সহসভাপতি ও ঢাকা মহানগর যুগ্ম সমন্বয়ক নুরুল আখতার, সহসভাপতি ফজলুর রহমান বাবুল প্রমুখ।