তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং বেগম খালেদা জিয়া, ডা. শফিকুর রহমান, আল্লামা মামুনুল হক, মানবাধিকার কর্মী আদিলুর রহমানসহ সকল ‘রাজবন্দি’র নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে গণঅধিকার পরিষদ (রেজা কিবরিয়া)। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই সমাবেশ আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা।

সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেন, আওয়ামী লীগের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণতন্ত্র উদ্ধার নিয়ে কথা বলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, হেফাজতে ইসলামীর নেতা মাওলানা মামুনুল হক, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের জেলে বন্দী করে রেখেছে। অন্যদেরও গায়েবি মামলায় আসামি করে হয়রানি করছে। কিন্তু তারপরও আওয়ামী লীগ তাদের পতন ঠেকাতে পারবে না, তাদের পতন খুবই কাছাকাছি। 

দলের যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান বলেন, ‘হামলা-মামলা করে, গুম-খুন করে কেউ কোনোদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। আপনারা যদি জোর করে আরেকটা ইলেকশন দিতে চান তাহলে আরও স্যাংকশনে পড়বে দেশ, তাই দ্রুত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে দিন।’ 

সভাপতির বক্তব্যে পরিষদের মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, অবৈধ সরকারের কাছে আমাদের কোনও দাবি নাই। দেশটা দেউলিয়া হয়ে গেছে। জনগণ ফুঁসে উঠছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠাই কেবল আপনাদের বাঁচাতে পারে। অন্যথায় জনগণ আপনাদের লক্ষ্যবস্তু বানাবে। শ্রীলঙ্কার জনগণ কীভাবে সেখানকার স্বৈরাচার নামিয়েছিল, গণধোলাই দিয়েছিল তা ভুলে যাওয়ার কথা না। তাই জনগণের টার্গেট হওয়ার আগে দ্রুত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিন।

সমাবেশের সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব মোশতাক আহমেদ শিশির। সভায় গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক জিশান মহসিন, সাদ্দাম হোসেন, আরিফুর রহমান তুহিন, সহকারি আহবায়ক সাকিব হোসাইন, সহকারি সদস্য সচিব শেখ খাইরুল কবির, মো. শামসুদ্দিন, কেন্দ্রীয় সদস্য ইসমাইল বন্ধন, জিয়াউর রহমান, শামীম রেজা, ইমাম হোসেন, মোজাম্মেল মিয়াজি, ইঞ্জি. ফাহিমসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।