প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল: গণতন্ত্র মঞ্চ

বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ করেছেন, বলে মনে করে গণতন্ত্র মঞ্চ। মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের সব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার নির্দেশ প্রদান করেন, তখন দেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বলে আর কিছু থাকে না। এটা বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপের শামিল।

রবিবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় নেতারা এসব কথা বলেন।

মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি'র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন— নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম।

নেতারা বলেন, সরকার যে বিচার বিভাগকে বিরোধীদের দমনে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায়, এটা তার প্রমাণ বহন করে। বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি বানচাল করার উদ্দেশ্যে  সরকার প্রধানের প্রতিশোধমূলক এ ধরনের  রাজনীতি দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সংকট কেবল আরও ঘনীভূতই করবে।

আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকার সমাবেশে যেকোনও ধরনের উসকানিতে পা না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে  সমাবেশ সফল করার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানান মঞ্চের নেতারা।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—  নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি'র সিনিয়র যূ্গ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুঁইয়া, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ইউসুফ সেলিম প্রমুখ