বাজার সিন্ডিকেটের দায় বিরোধী দলের ওপর চাপাতে চায় সরকার, অভিযোগ জোনায়েদ সাকির

বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির দায় বিরোধী দলের ওপর চাপিয়ে সরকার তাদের আরেক দফা নিপীড়ন করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।

তিনি বলেন, মুক্তবাজারের কথা বলে সরকার নিজের লোক দিয়ে বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য করছে। পোষ্য কোম্পানির মাধ্যমে সিন্ডিকেট করে নিজেরাই ভাগ বাটোয়ারা করছে। তারা নিজেরাই যেহেতু সিন্ডিকেট, এখন বিরোধী দলের ওপর দায় চাপিয়ে আরেক দফা বিরোধী দলের ওপর নিপীড়ন করতে চায় তারা।

সোমবার (১৮ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মন্ত্র আয়োজিত সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ও বাজারে দ্রব্যমূল্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে দেশে আমদানি উন্মুক্ত করতে হবে, যেন মাত্র কয়েকটি কোম্পানি সব আমদানি করতে না পারে।

৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভারতের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে সম্প্রতি দেওয়া ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে জোনায়েদ সাকি প্রশ্ন তোলেন, আমরা জানতে চাই ভারতকে কী কী দাসখত দিয়েছেন, বাংলাদেশকে কী পরিমাণ বিক্রি করেছেন?

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার ২৯টা পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েও তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ওবায়দুল কাদের বলছেন সিন্ডিকেটের মধ্যে বিএনপি আছে কি না খতিয়ে দেখবেন। কিন্তু আমি বলতে চাই, দেশের মাত্র সাত আট জন ব্যাবসায়ী বাংলাদেশের সব আমদানি-রফতানি নিয়ন্ত্রণ করেন। তারা কারা সবাই জানে। দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর সিন্ডিকেটে কারা কারা আছে সরকার জানতে চাইলে গণতন্ত্র মঞ্চ তাদের নাম প্রকাশ করবে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, দেশে আইয়ামে জাহেলিয়াত চলছে, ডাকাতদের শাসন চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাংক ও বাজারে নৈরাজ্য চলছে। যারা সিন্ডিকেট করছে, তারা সরকারের ভেতরেই আছে। সংসদ ও সরকার মূলত সিন্ডিকেটের দখলে। আইনের শাসনকে বিদায় দিয়ে বর্তমানে দেশে এক ধরনের নৈরাজ্য চলছে। এই সরকার যতদিন থাকবে মানুষের দুর্ভোগ তত বাড়তে থাকবে।

গণতন্ত্র মন্ত্র আয়োজিত প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি

অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নি শিখা জামালী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।