ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় প্রস্তাবিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বাইরে স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোর সভাপতি পদ বিরোধী দলগুলোর মধ্যে বণ্টনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার বৈঠক শেষে এসব কথা জানান এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
সারজিস আলম বলেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে সরকার দলের সদস্য সংখ্যাই বেশি থাকে। ফলে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোর কমিটির সভাপতির পদ প্রাপ্ত ভোট অনুযায়ী বিরোধী দলগুলোর মধ্যে বণ্টনের প্রস্তাব দিয়েছে এনসিপি। বিরোধী দল বলতে শুধু একটি দল নয়, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দলগুলোকেও এই দায়িত্ব দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু এলে দল ও মতের ঊর্ধ্বে উঠে সব রাজনৈতিক শক্তির একসঙ্গে থাকা উচিত। এখানে অস্পষ্ট অবস্থান সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
নারী আসন প্রসঙ্গে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসলিম জারা বলেন, আমরা চাই জাতীয় সংসদের ন্যূনতম ২৫ শতাংশ নারী জনপ্রতিনিধি সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হোক। ৩০০ আসন বাড়িয়ে ৪০০ করা হলে ১০০ আসনে নারীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং সেখান থেকেই তৃণমূল নেতৃত্ব উঠে আসবে।
তিনি বলেন, সংরক্ষিত আসনের প্রচলিত পদ্ধতি নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সহায়ক নয়। নারীরা নিজস্ব আসন থেকে নির্বাচিত হলে তারা নির্বাচনি মাঠ, প্রচারণা, জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি এবং কাজের মধ্য দিয়ে নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ পান।
এই বিষয়ে সারজিস আলম বলেন, সংরক্ষিত আসন আসলে ৫০ থেকে ১০০ হওয়ার মধ্য দিয়ে নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি হবে না। বরং আমরা মনে করি, এটা আরও অন্তরায় সৃষ্টি করবে। কারণটা হচ্ছে আমাদের এই যে সংরক্ষিত আসনটা দেওয়া হয়, এই সংরক্ষিত আসনগুলো আসলে প্রাইস পোস্টিং। দ্বিতীয়ত, এখানে যে যোগ্য মানুষদেরকে দেওয়া হয়— এই বিষয়টা আমরা দেখে আসিনি বিগত সময়ে। বরং কোনও একটা জায়গায় কোনও একজনকে মনোনয়ন দিতে না পারলে তখন তার পরিবার আত্মীয়স্বজনের কাউকে একজনকে দিয়ে সান্ত্বনা পুরস্কার দেওয়া হয়।