জুলাই সনদ, ঘোষণাপত্র ও বিচার শেষ হলে এপ্রিলে নির্বাচন হতে পারে: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘জুলাই সনদ, ঘোষণাপত্র ও বিচার শেষ হলে এপ্রিলে নির্বাচন করা যেতে পারে। তাছাড়াও আমরা চেয়েছিলাম সংস্কারের রূপরেখাটা আগে হোক।’

শুক্রবার (৬ জুন) নির্বাচন নিয়ে  প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলেছিলাম— বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন; এই সরকারের তিনটি প্রধান কর্তব্য। আজকে প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্য শুধু রোডম্যাপ না, এই তিনটি বিষয় সম্পর্কেও আলোচনা করেছেন, যে আমাদের নির্বাচনি ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার প্রয়োজন। বিচারের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’

প্রধান উপদেষ্টার কাছে সবশেষ সর্বদলীয় বৈঠকে জুলাই সনদের পরেই যেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়, এমনটা দাবি করেছিল এনসিপি। একথা মনে করিয়ে দিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘তারপরও তিনি নির্বাচনের সম্ভাব্য মাস এপ্রিলের প্রথমার্ধ্বের কথা বলেছেন। এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলের একটি অংশ নির্বাচনের তারিখ জানতে চাচ্ছিল। তাদের আশ্বস্ত করতে হয়তো বলেছেন। তবে বৃহত্তম জনগোষ্ঠীকে আশ্বস্ত করতে জুলাই সনদও জরুরি। আমরা আশা করবো নির্ধারিত ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র কার্যকর হবে। জুলাইয়ে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্র আসলে লেভেলপ্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে নির্বাচন করা যেতে পারে। এ সময়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনও জরুরি।’

আরেক প্রতিক্রিয়ায় এনসিপির যুগ্ম-আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণাকে আমরা ইতিবাচকভাবে নিয়েছি। জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে হয়ে নির্বাচন এপ্রিলে হলে এনসিপি আপত্তি করবে না। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি হবে গণপরিষদ। তাই একইসাথে সংস্কার বাস্তবায়ন ও সরকার গঠনের স্বার্থে আগামী নির্বাচনকে যুগপৎভাবে গণপরিষদ ও আইনসভার নির্বাচন ঘোষণা করতে হবে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ মোতাবেক নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। বিদ্যমান ইসি তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে।’