ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশে জামায়াতকে আমন্ত্রণ

আগামী ২৮ জুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠেয় জাতীয় মহাসমাবেশে জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ধর্মভিত্তিক ও ডান ভাবধারার রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর পুরানা পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। তারা আমাদের আমন্ত্রণ উৎসাহের সঙ্গে গ্রহণ করছে। ইনশাআল্লাহ, জাতীয় নেতাদের একটি মিলনমেলা হতে যাচ্ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ২৮ জুনের মহাসমাবেশ।’

ইসলামী আন্দোলনের দলীয় সূত্র জানায়, মহাসমাবেশে জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ধর্মভিত্তিক ও ডান ভাবধারার রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

তবে জামায়াতের উচ্চ পর্যায়ের কোনও নেতাকে অংশ নিতে দল থেকে নিরুৎসাহিতও করা হয়েছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য রাজনৈতিক সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছে।  এছাড়া বাম ও প্রগতিশীল ধারার দলগুলোকেও আমন্ত্রণ জানায়নি ইসলামী আন্দোলন।

বৃহস্পতিবার জাতীয় মহাসমাবেশের প্রস্তুতি, রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ ও এর রাজনৈতিক প্রভাব সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ।

তিনি জানান, মহাসমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমকে আহ্বায়ক করে ২৪ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ১২টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। মহাসমাবেশের মাঠ তথা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রশাসনিক অনুমতি মিলেছে। স্টেজ নির্মাণসহ সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ের রয়েছে। মহাসমাবেশ এলাকার নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দল ইতোমধ্যে প্রস্তুত রয়েছে।

গাজী আতাউর রহমান বলেন, সারা দেশ থেকে কয়েক হাজার গাড়ি শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে ঢাকায় প্রবেশে করে শনিবার (২৮ জুন) রাতে বের হবে। ফলে হাইওয়েতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে নেতাকর্মীদের আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান করছি।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন— যুগ্ম মহাসচিব আশরাফুল আলম, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব কেএম আতিকুর রহমান, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমাদ আবদুল কাইয়ুম, উপদেষ্টা কৃষিবিদ আফতাব উদ্দীন, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, মুক্তিযোদ্ধা-বিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেম।