‘সাওল পদ্ধতির প্রসার হলে কমবে স্বাস্থ্য বাজেট’

বাংলাদেশে বিনা রিং, বিনা অপারেশনে হৃদরোগ চিকিৎসার পথিকৃৎ সাওল হার্ট সেন্টার, বাংলাদেশ কেবল চিকিৎসা কেন্দ্র নয়, এটাকে একটি সামাজিক আন্দোলন বলে মনে করেন স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, সাওল পদ্ধতির প্রসার হলে দেশের স্বাস্থ্য খাতের বাজেট অনেক কমে আসবে।

শনিবার দুপুরে ইস্কাটন গার্ডেন রোডে, সাওল মিলনায়তনে সাওল হার্ট সেন্টার (বিডি) লিমিটেডের ১২ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য সচিব।

স্বাস্থ্য সচিব বলেন, মোহন রায়হান যেমন রাজপথে বিপ্লবী ছিলেন, স্বাস্থ্যখাতেও তিনি সেই একই বিপ্লব করছেন। সাওল পদ্ধতির চিকিৎসা একটি বিপ্লবের নাম। সাওল হার্ট সেন্টারকে কীভাবে সরকারি স্বাস্থ্য খাতের সাথে সম্পৃক্ত করা যায়, করোনা মহামারির পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান তিনি।

সাওল হার্ট সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, কবি মোহন রায়হান বলেন, ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মানুষকে হৃদরোগ মুক্ত রাখার স্বাস্থ্য আন্দোলন হিসেবেই বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সাওল হার্ট সেন্টার। সাওল- দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় হৃদরোগ চিকিৎসা সহজলভ্য করে তোলার সামাজিক আন্দোলন।

মোহন রায়হান বলেন, আমাদের স্বপ্ন- বাংলাদেশে প্রথম নন সার্জিক্যাল হার্ট ট্রিটমেন্ট এবং লাইফস্টাইল হাসপাতাল ও মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা। এ জন্য সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, বিশ্বে হার্ট ব্লকেজের চিকিৎসার ৬০ বছরের প্রচলিত বাইপাস সার্জারি পদ্ধতির পরিবর্তে ‘বিনা অপারেশনে হৃদরোগ মুক্তি কথাটা শুনে এক সময় আমার বন্ধুরাও চমকে উঠত! বিষয়টিকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা সহজসাধ্য ছিল না। কিন্তু গত ১২ বছরে আমরা সেটাই প্রমাণ এবং বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছি।

সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ, আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, সমাজতাত্ত্বিক ড. সলিমুল্লাহ খান।

ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, রোগ সারাতে গিয়ে আধুনিক বিজ্ঞান উল্টো অনেক রোগ সৃষ্টি করেছে। বিজ্ঞানের সেই সমস্যাটি চিহ্নিত করে একটি নতুন চিকিৎসা ব্যবস্থা আবিষ্কার করেছে সাওল। নাঈমুল ইসলাম খান জানান, মোহন রায়হানের একার উদ্যোগটিকে সরকারিভাবে সহায়তা করা দরকার।