টানা পঞ্চমবার ‘ফ্রস্ট অ্যান্ড সালিভান’র পুরস্কার জিতলো ইডটকো

শীর্ষস্থানীয় সমন্বিত টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান- ইডটকো গ্রুপ (ইডটকো) চলতি বছর টানা পঞ্চমবারের মতো ফ্রস্ট অ্যান্ড সালিভানের ‘এশিয়া প্যাসিফিক টেলিকম টাওয়ার কোম্পানি অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। এই পুরস্কারের পাশাপাশি টাওয়ার এক্সচেঞ্জ’র বরাত দিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০ টাওয়ার কোম্পানির র‌্যাংকিংয়ে জায়গা করে নেওয়ার কৃতিত্বও অর্জন করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

এই দুই বড় প্রাপ্তির বিষয়ে ইডটকো গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আদলান তাজুদিন বলেন, ‘এই অর্জন বিভিন্ন দেশে আমাদের করা কাজেরই স্বীকৃতি। যেসব অঞ্চলে আমাদের কার্যক্রম বিস্তৃত রয়েছে, সেসব জায়গাতে টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো খাতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারের ভূমিকা আমরা পালন করে যাচ্ছি। সেসব দেশে আমরা আগামী প্রজন্মের প্রযুক্তি, টেকসই উদ্ভাবন এবং সবচেয়ে ভালো উপায়ে কাজ করার মাধ্যমে আমাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এমনকি চলমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও তা অব্যাহত রয়েছে। 

তিনি বলেন, চরম এই সংকটকালেও দেশগুলোর আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য নির্বিঘ্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ইডটকো টিম বদ্ধপরিকর। 

তিনি আরও বলেন, ইডটকোতে আমাদের যে একটি অসাধারণ টিম রয়েছে, এই পুরস্কারপ্রাপ্তি তারই প্রমাণ। নিউ নর্মাল এই সময় কাজের নতুন ধারার সঙ্গে খাপ-খাইয়ে নিতে আমাদেরকে বাধ্য করেছে। এর মধ্যেও যথাযথ শেয়ারযোগ্য অবকাঠামো নিশ্চিত করা এবং জাতীয় ডিজিটাল লক্ষ্যগুলো পূরণে আমাদের কর্মীরা তাদের কর্মনিষ্ঠা ও তৎপরতার সর্বোচ্চটি দেখিয়েছেন।

ফ্রস্ট অ্যান্ড সালিভানের ‘এশিয়া প্যাসিফিক বেস্ট প্র্যাকটিসেস অ্যাওয়ার্ডস’ শীর্ষ মানসম্পন্ন কোম্পানিগুলোকে স্বীকৃতি দিয়েছে, যেগুলো ২০২০ সালে নিজেদের ব্যবসায়িক খাতে এবং ইন্ড্রাস্টির উন্নয়নে বেশি অবদান রেখেছে। ফ্রস্ট অ্যান্ড সালিভানের বিশ্লেষক দলটি কোনও একটি কোম্পানির উৎকর্ষতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে পুঙ্খানুপুঙ্খ পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে। 

প্রসঙ্গত, ইডটকো গ্রুপ ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি এশিয়ার প্রথম আঞ্চলিক ও সমন্বিত টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, যা টাওয়ার সেবা খাতে টাওয়ার লিজিং, কো-লোকেশন্স, বিল্ড-টু-স্যুট, এনার্জি, ট্রান্সমিশন, অপারেশন্স এবং মেইন্ট্যানেন্স (ওঅ্যান্ডএম) ইত্যাদি সেবা প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, শ্রীলংকা, লাওস, ফিলিপাইন ও পাকিস্তান-এই আটটি দেশে ইডটকো ৩৪ হাজারেরও বেশি টেলিযোগাযোগ টাওয়ার পরিচালনা করে। এর মধ্যে ইডটকো সরাসরি ২০ হাজার ২৩০টি এবং অন্যান্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাকি ১১ হাজার ৫০০টি টাওয়ার পরিচালিত হয়।