প্রেরণা ফাউন্ডেশন ও বেঙ্গল মিটের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবিকা ও জীবনমান উন্নয়নে প্রেরণা ফাউন্ডেশন ও বেঙ্গল মিট একটি যৌথ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পের আওতায়, কার্যকর বাজার সংযোগের মাধ্যমে সংগ্রহ হবে গবাদিপশু, ভাগ্য বদলাবে সহস্রাধিক খামারি পরিবারের। বেঙ্গল মিটের সঙ্গে যৌথ পরিকল্পনায়, একটি কার্যকর ভ্যালু চেইন তৈরি করেছে প্রেরণা ফাউন্ডেশন, যার মাধ্যমে কুষ্টিয়া ও রংপুর অঞ্চলের খামারিদের কাছ থেকে উন্নত মানের গবাদিপশু সংগ্রহ ও সরবরাহ সম্ভব হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রেরণা ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে সম্প্রতি একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সেইফ প্রোটিন ফার্মিং’ শীর্ষক এই নতুন প্রকল্পের লক্ষ্য দেশব্যাপী প্রেরণা ফাউন্ডেশনের কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের অধীনে থাকা সহস্রাধিক খামারি পরিবারের জন্য বাড়তি আয়ের সংস্থান তৈরি করা। বাজার ও খামারিদের মাঝে সংযোগ তৈরির মাধ্যমে একটি মার্কেট লিংকেজ স্থাপন করেছে প্রেরণা ফাউন্ডেশন, যার ফলে খামারিরা তাদের গবাদিপশু সরাসরি বেঙ্গল মিটের কাছে বিক্রি করতে পারবেন। এই প্রকল্পটি দীর্ঘমেয়াদে খামারি পরিবারদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে, প্রতিটি খামারি পরিবারের জন্য শিক্ষার মান উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধিসহ তাদের ক্ষমতায়নে কাজে করা সম্ভব হবে। এছাড়াও, এর মাধ্যমে বেঙ্গল মিটের গ্রাহকদের জন্য নিরাপদ এবং উচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন প্রোটিনের সরবরাহ নিশ্চিত করাও সম্ভব হবে।

প্রেরণা ফাউন্ডেশনের গভর্নিং বডির পরিচালক মুবিনা আসাফ বলেন, ‘বিগত কয়েক দশক ধরে গবাদিপশু পালন ও খামার ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে। কীভাবে গবাদিপশু পালন করলে স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ প্রোটিন নিশ্চিত করা যাবে, সে বিষয়ে আমাদের খামারিরা অনেক বেশি সচেতন। সব সম্ভাবনা উন্মোচনের মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতে এই প্রকল্পের পরিধি আরও বাড়াতে পারবো এবং এ ধরনের অংশীদারিত্বের মধ্য দিয়ে আমাদের কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের খামারিদের আর্থিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা অর্জনে সহায়তা করতে পারবো।’

এ প্রসঙ্গে বেঙ্গল মিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ এ মঈন বলেন, ‘বেঙ্গল মিট গ্রাহকদের জন্য নিরাপদ প্রোটিন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিরাপদ প্রোটিনের উৎস হিসেবে আমাদের ব্র্যান্ডের প্রতি গ্রাহকদের আস্থার কথা মাথায় রেখে প্রেরণা ফাউন্ডেশনের প্রকল্পের বেনিফিশিয়ারিদের কাছ থেকে উন্নত মানের গবাদিপশু সংগ্রহের জন্য আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এই অংশীদারিত্ব আগামী দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে, যা সেফ প্রোটিন ফার্মিং উদ্যোগের অধীনে গবাদিপশু পালনকারীদের উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণকে সহজতর করবে।’

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রেরণা ফাউন্ডেশনের গভর্নিং বডির পরিচালক মুবিনা আসাফ এবং এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান।

বেঙ্গল মিটের পক্ষে ছিলেন– প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ এ মঈন, কোম্পানি সেক্রেটারি মাহবুবুল আলম, সাপ্লাই চেইনের জেনারেল ম্যানেজার কৃষ্ণথা উইজেসুরিয়া এবং অপারেশনস ম্যানেজার রেজাউল করিম শামীম।