জেসিআই বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৩১ তরুণ উদ্যোক্তা

জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের উদ্যোক্তা সম্মেলনে ৩১ তরুণ উদ্যোক্তাকে দেওয়া হয়েছে ‘জেসিআই তরুণ উদ্যোক্তা অ্যাওয়ার্ড-২০২২’। এরমধ্যে ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে ‘দ্য চেঞ্জ মেকার অ্যাওয়ার্ড’। শনিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান শুটিং কমপ্লেক্সে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তরুণ উদ্যেক্তাদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ‘নগদ’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক। এ সময় জেসিআই বাংলাদেশের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আ. আহাদসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা তরুণ উদ্যোক্তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন।

জেসিআই তরুণ উদ্যোক্তা অ্যাওয়ার্ড পান– সাখাওয়াত হোসেন, মোনেম শাহরিয়ার শেজান, রেজওয়ান উল হক, আরেফিন রাফি আহমেদ, খন্দকার নাইমুল হাসান, মো. ইরসাদুল হক, হাবিবুর রহমান জুয়েল, মিনহাজ খান, মো. সোহেল আহমেদ, মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান, জাফির শফি চৌধুরী, মো. নাহিদ ইসলাম, ইমতিয়াজ উদ্দিন, মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, প্রকৌশলী মোহাম্মদ এমরান হাসান অভি, মো. কামরুজ্জামান পাভেল, মো. ফখরুল আলম মুকুল, আশাবুস সাফা, রেবেকা সুলতানা বিন্তি, সানামা ফয়েজ, শাফকাত আহমেদ ও মো. মাহমুদুর রহমান।

জেসিআই সদস্য ছাড়াও ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয় জেসিআই দ্য চেঞ্জ মেকার অ্যাওয়ার্ড। তারা হলেন– এম আমিনুর রহমান, সামিনা সারা, মাহমুদুল ইসলাম সোহাগ, ফাহাদ বিন কামাল, শিখো, ইফতেখার রাফসান, আমবারীন রেজা, মো. ইমরান হোসেন ও আজরা মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে আমি আনন্দিত। আপনারা জানেন, আমরা শুধু সুযোগ খুঁজি কীভাবে বড় হতে পারি। ১০ টাকার একটি লটারি দিয়ে ভাগ্য পরিবর্তন করতে চাই। কিন্তু সুযোগ সব সময় নিতে হয় না, সেটার জন্য কাজ করতে হয়। আমি মনে করি, ব্যবসার ক্ষেত্রে চারপাশের সমস্যা সমাধান করতে পারলেই আপনি সফল হবেন। অনেক আইডিয়া আবিষ্কারের চেয়ে আপনি যদি সমস্যা সমাধান করতে পারেন, তাহলেই আপনি সফলতা পাবেন।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেসিআই বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট নিয়াজ মোর্শেদ এলিট। তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে বাংলাদেশে জেসিআইয়ের পাঁচ হাজার সদস্য রয়েছেন। যারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল। জেসিআই সমাজের পরিবর্তনের অঙ্গীকারাবদ্ধ তরুণদের নিয়ে কাজ করে। যারা বিশ্বাস করে, আমি পারবো, আমরা পারবো।’