ইউল্যাবে ‘দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহাসিক স্মারক পুনরায় পরিদর্শন’ বিষয়ক সেমিনার

সেন্টার ফর আর্কিওলজিক্যাল স্টাডিজ (সিএএস) এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) জেনারেল এডুকেশন বিভাগ যৌথভাবে ‘দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহাসিক স্মারক পুনরায় পরিদর্শন’ বিষয়ক একটি সেমিনারের আয়োজন করেছে। সোমবার ইউল্যাবের স্থায়ী ক্যাম্পাসে ছিল এই আয়োজন। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইউল্যাবের উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমানের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সেমিনার শুরু হয়। বক্তব্যে তিনি সিএএস’র তাৎপর্য তুলে ধরার পাশাপাশি এপিগ্রাফির গুরুত্ব এবং ইতিহাসের পুনর্পাঠের জন্য এপিগ্রাফির প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করেন।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সুস্মিতা বসু মজুমদার ‘মৌর্য অনুসন্ধান এবং সমসাময়িক নথি’ শিরোনামে বক্তৃতা রাখেন। তিনি তার বক্তব্যে মৌর্য সামাজের বিভিন্ন দিক, বিশেষ করে সম্রাট অশোক এবং তার রাষ্ট্রনীতি, নৈতিকতা, শিক্ষা ও মহাস্থানগড়ের শিলালিপির সঙ্গে সমসাময়িক অন্যান্য শিলালিপির সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য তুলে ধরেন।

সেমিনারের দ্বিতীয় বক্তা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. সায়ন্তনী পাল আর্কিওলজির ওপর একটি বইয়ের অনুবাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। বি.ডি চট্টোপাধ্যায়ের ‘প্রারম্ভিক মধ্যযুগীয় গ্রামীণ বসতি ও সমাজ’ বইটি তিনি অনুবাদ করেছেন।

সেমিনারে আরও ছিলেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুল মোমিন চৌধুরী। তিনি তার সময়ের কাজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন এবং ইতিহাসের কাজের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

আলোচনা শেষে উপস্থিত শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে একটি প্রশ্নউত্তর পর্বের আয়োজন করা হয়।