সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ওয়েবিনার

আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মিডিয়া অ্যান্ড জার্নালিজম প্রোগ্রাম ‘সরকার, মিডিয়া এবং নাগরিকদের মধ্যে একটি ফলাফল-ভিত্তিক ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা মডেল’ শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে। 

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া অ্যান্ড জার্নালিজম প্রোগ্রামের সহযোগী অধ্যাপক ড. রেজওয়ান-উল-আলম আয়োজনে নতুন একটি সহযোগিতামূলক মডেলের প্রস্তাব করেছেন।

ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন আজকের পত্রিকার সম্পাদক প্রফেসর ড. গোলাম রহমান।

অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে ছিলেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা. আব্দুন নূর তুষার, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সমিখশা কৈরালা এবং এশিয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. তৌফিক ই এলাহী ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন।

আয়োজনে গণমাধ্যমকে কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং একটি অনুকূল যোগাযোগ পরিবেশের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ড. রেজওয়ান। সীমাবদ্ধ আইন ও প্রবিধানের মাধ্যমে অযথা চাপ প্রয়োগকে নিরুৎসাহিত করে গণমাধ্যমকে জনহিতকর হিসেবে বিবেচনা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

জনগণের কল্যাণে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ডা. গোলাম রহমান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সামরিক শাসনামলে সাংবাদিকতার মান খারাপ ছিল’।

প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক সরকারের সঙ্গে মিডিয়ার ইতিবাচক সহযোগিতার বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেছেন, এসিড সহিংসতা রোধে এবং উত্তর জেলায় দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব কমাতে ইতিবাচক সহযোগিতাগুলোর ভালো ভূমিকা ছিল।

অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন বলেন, ‘আমি লক্ষ্য করেছি বিভিন্ন শক্তি বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে। এতে মিডিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা কমছে’।

গণমাধ্যমের মালিক এবং বিনিয়োগকারীদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. আবদুন নূর তুষার।  

ড. সমীখশা কৈরালা বলেন, ‘নৈতিক ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা গণমাধ্যমের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে’।

দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই গণমাধ্যম ও নাগরিকদের সম্পৃক্ত করতে হবে বলে মত দেন কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ।

প্রস্তাবিত সহযোগিতা মডেলটি কার্যকর করার জন্য পাঁচ দফা সুপারিশ উপস্থাপন করা হয় আয়োজনে। সেখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে অন্য সব মানবাধিকারের ভিত্তি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।